বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ‘ডাকাতদের আড্ডা’: প্রেস সচিব শফিকুল

- আপডেট সময় ০৪:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ডাকাতদের আড্ডাখানা হয়ে গেছে।” এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
রোববার (২৫শে মে), পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে যারা পুঁজিবাজারের সংস্কারে দায়িত্ব নিয়েছেন, তারাই বিভিন্ন গোষ্ঠীর তাবেদারি করেছেন। এর ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কেবল প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং তাদের পুঁজি হারিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে বিএসইসিতে বা বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের যে রিফর্মগুলো যারা করেছেন, তারা সবাই গোষ্ঠীস্বার্থের দিকে তাকিয়েছিলেন। ফলে দেখা গেছে, যারা বড় বড় প্লেয়ার, তারা সবসময় বেনিফিটেড হয়েছেন। আর যারা খুব ছোট ট্রেডার, যারা শেয়ার মার্কেটে সেভিং করছেন, তারা বেশিরভাগ সময় বেনিফিটেড হননি বা চিটেড হয়েছেন। তারা ম্যানিপুলেশনের শিকার হয়েছেন।”
প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন যে, পুঁজিবাজারে কারসাজি ঘটানো হয়েছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কিন্তু, এদের বিরুদ্ধে হিস্টোরিক্যালি কি কোনো সরকার ঠিকভাবে কোনো অ্যাকশন নিয়েছে?”
শফিকুল আলম জানান, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সাথে এক বৈঠকে পুঁজিবাজারের এই দুরবস্থা নিয়ে জোরালো আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকে এই ধরনের কথা খুব জোরালোভাবে এসেছে যে, কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি আবারও উল্লেখ করেন, “পুরো শেয়ার মার্কেটটা হয়ে গেছে ডাকাতদের আড্ডা। পুঁজিবাজারে এই ডাকাত গেলে আরেকটা ডাকাত আসতেছে।”
তিনি বলেন, “পুঁজিবাজার সংস্কারের জন্য আপনি যাকে নিয়ে আসতেছেন, সে আসলে আরেকটা ডাকাত।” এ প্রসঙ্গে প্রফেসর ইউনূস বলেছেন যে, এখানে খুব শক্ত এবং গভীর সংস্কার করতে হবে। এই সংস্কার তারাই করবে যারা এই গোষ্ঠীস্বার্থের অনেক দূরের লোক। তারা নির্মোহভাবে সংস্কার করবে।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি থাকবে না বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “কোনো গোষ্ঠী যেন মনে না করেন যে, এখান থেকে আমি আমার মতো করে টাকা বানাব। অর্ডিনারি শেয়ারহোল্ডারের জন্য ইন্টারেস্টটা প্রটেক্ট হয়— এই জায়গাটা প্রফেসর ইউনূস বারবার এটা এমফাসিস দিয়েছেন।”