জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী!

- আপডেট সময় ০১:০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (২৭শে মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই ঐতিহাসিক আদেশ দেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই মামলায় আগে হেরেছিল, কিন্তু রিভিউ আবেদনের পর আপিল শুনানি হয়। অবশেষে, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই ৯৮৮ জনকে চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
আসুন জেনে নিই এই ঘটনাটির পেছনের ইতিহাস। বিগত ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। চাকরি হারানোর পর তাদের অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন, অনেকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণও করেছেন। বাকিরা ছিলেন অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে।
গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন করে চাকরি ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। তারা এ নিয়ে আন্দোলনেও নামেন।
তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘প্রতিহিংসার শিকার’ হয়ে চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়ে রিভিউ পিটিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি যথাযথ অনুসরণ করে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বিভিন্ন স্মারকে এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর ২০১১ সালে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে আদালতকে বিভ্রান্ত করে তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় ২০১১ সালে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়, যা ছিল চাকরিবিধি বহির্ভূত, অনিয়মতান্ত্রিক ও অনৈতিক।
এই নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া ২০০৪ সালের ৩১শে আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানির পর ২০০৬ সালের ২২শে আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন।
তবে এরপর গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক (ওই রায়ের বিপরীতে) ২০১০ সালের ১৫ই ডিসেম্বর রিভিউ মামলা দায়ের করেন, যার ফলে আদালত কর্মচারীদের চাকরি থেকে অপসারণের রায় দেন।