ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেন ৫৬% বেড়েছে: বিএফআইইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:২৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সংক্ষেপে বিএফআইইউ, জানিয়েছে যে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং বা এসটিআর-এর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাড়ে ১০ মাসে এই রিপোর্টিং বেড়েছে ৫৬ শতাংশেরও বেশি!

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ’র কর্মকর্তারা এই তথ্য তুলে ধরেন।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১৫ই মে পর্যন্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানিসহ রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে মোট ২৭ হাজার ১৩০টি সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং (এসটিআর) এসেছে। যেখানে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩৪৫টি।

এই বিপুল বৃদ্ধির পেছনে গত বছরের ‘জুলাই বিপ্লব’-এর পর থেকে এ ধরনের রিপোর্টিং ব্যাপক বেড়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছর, অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে এসটিআর ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি, যা থেকে বোঝা যায় যে এবার রিপোর্টিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৩ শতাংশের বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, গত অর্থবছর বিএফআইইউ মোট ১১৪টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় পাঠিয়েছে।

এছাড়াও, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রণক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৩.৯১ শতাংশ বেশি।

এই কার্যকর পদক্ষেপগুলোর ফলস্বরূপ, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ জোরদারের কারণে ব্যাসেল এএমএল ইনডেক্স-২০২৪ র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৩ ধাপ এগিয়ে ৪৬ নম্বর থেকে ৫৯ নম্বরে উন্নীত হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা ও সক্ষমতার একটি বড় স্বীকৃতি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেন ৫৬% বেড়েছে: বিএফআইইউ

আপডেট সময় ০৩:২৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সংক্ষেপে বিএফআইইউ, জানিয়েছে যে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং বা এসটিআর-এর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাড়ে ১০ মাসে এই রিপোর্টিং বেড়েছে ৫৬ শতাংশেরও বেশি!

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ’র কর্মকর্তারা এই তথ্য তুলে ধরেন।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১৫ই মে পর্যন্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানিসহ রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে মোট ২৭ হাজার ১৩০টি সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং (এসটিআর) এসেছে। যেখানে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩৪৫টি।

এই বিপুল বৃদ্ধির পেছনে গত বছরের ‘জুলাই বিপ্লব’-এর পর থেকে এ ধরনের রিপোর্টিং ব্যাপক বেড়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছর, অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে এসটিআর ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি, যা থেকে বোঝা যায় যে এবার রিপোর্টিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৩ শতাংশের বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, গত অর্থবছর বিএফআইইউ মোট ১১৪টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় পাঠিয়েছে।

এছাড়াও, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রণক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৩.৯১ শতাংশ বেশি।

এই কার্যকর পদক্ষেপগুলোর ফলস্বরূপ, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ জোরদারের কারণে ব্যাসেল এএমএল ইনডেক্স-২০২৪ র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৩ ধাপ এগিয়ে ৪৬ নম্বর থেকে ৫৯ নম্বরে উন্নীত হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা ও সক্ষমতার একটি বড় স্বীকৃতি।