০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১০:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের গুজরাট রাজ্যের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। উদ্ধারকাজ চালিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও অনেকের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের সবাই মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। কারখানার একাংশে শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা থাকায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বনাসকাণ্ঠার কালেক্টর মিহির প্যাটেল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের কারণে ভবনের আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিন দিয়ে দ্রুত ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় কারখানায় প্রায় ৩৫ জন ছিলেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ১৮

আপডেট সময় ১০:০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের গুজরাট রাজ্যের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। উদ্ধারকাজ চালিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও অনেকের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের সবাই মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। কারখানার একাংশে শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা থাকায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বনাসকাণ্ঠার কালেক্টর মিহির প্যাটেল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের কারণে ভবনের আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিন দিয়ে দ্রুত ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় কারখানায় প্রায় ৩৫ জন ছিলেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।