ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

    চাটমোহরে পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে পুকুরে ফেলে হত্যা করলেন মা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৫১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
    • / ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

    ঘুমন্ত অবস্থায় পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। এ নির্মম ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে। এরপর মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার নাটক সাজিয়ে বিচার দাবি করেন এ মা। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা।

    সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার সোমবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে চাটমোহর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। শিশুটির মৃত্যুর পর শুক্রবার (৩১ মে) সকালে হত্যার রহস্য তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। পাঁচ মাস বয়সী শিশুটির নাম সোহাগী রানী। অভিযুক্ত মায়ের নাম শ্রাবন্তী বিশ্বাস। তিনি কমল মণ্ডলের স্ত্রী।

    সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, গত শুক্রবার সকাল আটটার দিকে মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস পাঁচ মাস বয়সী কন্যা শিশু সোহাগী রানীকে নিজ বাড়ির উঠানের চৌকিতে শুইয়ে রাখেন। এরপর তিনি পাশের বাড়িতে গরুর খড় আনতে যান। পরে বাড়িতে এসে তিনি তার শিশু কন্যা সোহাগীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে ওই শিশুর মরদেহ পাশের বড়াল নদীতে উপুড় হওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ব্যাপক আহাজারি শুরু করেন শ্রাবন্তী বিশ্বাস। করতে চান হত্যা মামলা। কিন্তু তার কথাবার্তা সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা। পারিবারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে শ্রাবন্তী বিশ্বাস নিজেই শিশুকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন। এতে তার মৃত্যু হয়।

    সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ঘাতক মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস ঘটনাটিকে নাটকীয় রুপ দিয়ে হত্যা মামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসে।

    এ ঘটনায় শিশুর বাবা শ্রাবন্তী বিশ্বাসকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় গতকাল রবিবার (১ মে) দুপরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

     

    নিউজটি শেয়ার করুন

    চাটমোহরে পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে পুকুরে ফেলে হত্যা করলেন মা

    আপডেট সময় ০১:৫১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

    ঘুমন্ত অবস্থায় পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। এ নির্মম ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামে। এরপর মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার নাটক সাজিয়ে বিচার দাবি করেন এ মা। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা।

    সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার সোমবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে চাটমোহর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। শিশুটির মৃত্যুর পর শুক্রবার (৩১ মে) সকালে হত্যার রহস্য তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। পাঁচ মাস বয়সী শিশুটির নাম সোহাগী রানী। অভিযুক্ত মায়ের নাম শ্রাবন্তী বিশ্বাস। তিনি কমল মণ্ডলের স্ত্রী।

    সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, গত শুক্রবার সকাল আটটার দিকে মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস পাঁচ মাস বয়সী কন্যা শিশু সোহাগী রানীকে নিজ বাড়ির উঠানের চৌকিতে শুইয়ে রাখেন। এরপর তিনি পাশের বাড়িতে গরুর খড় আনতে যান। পরে বাড়িতে এসে তিনি তার শিশু কন্যা সোহাগীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে ওই শিশুর মরদেহ পাশের বড়াল নদীতে উপুড় হওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ব্যাপক আহাজারি শুরু করেন শ্রাবন্তী বিশ্বাস। করতে চান হত্যা মামলা। কিন্তু তার কথাবার্তা সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা। পারিবারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে শ্রাবন্তী বিশ্বাস নিজেই শিশুকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন। এতে তার মৃত্যু হয়।

    সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ঘাতক মা শ্রাবন্তী বিশ্বাস ঘটনাটিকে নাটকীয় রুপ দিয়ে হত্যা মামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসে।

    এ ঘটনায় শিশুর বাবা শ্রাবন্তী বিশ্বাসকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় গতকাল রবিবার (১ মে) দুপরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।