ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

ক্রেতা নেই ‘কালো পাহাড়ের’: দুশ্চিন্তায় মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:২২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বিলকাঠিয়া গ্রামের কৃষক টুটুল শেখ, তার স্ত্রী মিরানা খাতুন ও ছেলে সুরুজ আলী শেখ সাড়ে তিন বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন ‘কালো পাহাড়’ নামের একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু।

এই গরুটির উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট, আর ওজন ১২০০ কেজি, অর্থাৎ ৩০ মণ। এখন এই বিশালাকৃতির গরু ‘কালো পাহাড়’ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক পরিবার। ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি, কিন্তু ক্রেতা মিলছে না।

জানা গেছে,  প্রতিদিন এর খাবারে খরচ হয় প্রায় ১০০০ টাকা। গরমে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা, দিনে চার-পাঁচবার গোসল করানো—এভাবেই চলছে এর যত্ন।

গত বছর ব্যাপারীরা এই গরুর দাম হাঁকিয়েছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার কৃষক পরিবার আশা করেছিল ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে। কিন্তু কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে এলেও ক্রেতার দেখা নেই। এখন খরচের দাম, অর্থাৎ ৭ লাখ টাকা পেলেই গরুটি বিক্রি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন টুটুল শেখ।

মিরানা খাতুন বলেন, “গরুটিকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। সারাক্ষণ গোয়ালঘরে থাকি, গোসল করাই, বাতাস করি। বিক্রির কথা শুনে কান্না পাচ্ছে।” ছেলে সুরুজ আলী বলেন, “এত বড় গরু ঢাকায় নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। ডাকাতি বা মরে যাওয়ার ভয় আছে। তাই বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চাই। এখন শুধু খরচের টাকা পেলেই ছাড়ব।” তিনি জানান, ভবিষ্যতে আর বড় গরু পালন করবেন না।

স্থানীয় কৃষক আজিজ মোল্লা বলেন, “এত বড় গরু এলাকায় আগে কখনো দেখিনি। প্রতিদিন লোকজন দেখতে আসে। কিন্তু এবার বড় গরু কেনার লোক নেই।” বিশাল আকৃতির কালো পাহাড় স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু হলেও বাজারে দাম না মেলায় কৃষক পরিবার হতাশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্রেতা নেই ‘কালো পাহাড়ের’: দুশ্চিন্তায় মালিক

আপডেট সময় ০১:২২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বিলকাঠিয়া গ্রামের কৃষক টুটুল শেখ, তার স্ত্রী মিরানা খাতুন ও ছেলে সুরুজ আলী শেখ সাড়ে তিন বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন ‘কালো পাহাড়’ নামের একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু।

এই গরুটির উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট, আর ওজন ১২০০ কেজি, অর্থাৎ ৩০ মণ। এখন এই বিশালাকৃতির গরু ‘কালো পাহাড়’ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক পরিবার। ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি, কিন্তু ক্রেতা মিলছে না।

জানা গেছে,  প্রতিদিন এর খাবারে খরচ হয় প্রায় ১০০০ টাকা। গরমে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা, দিনে চার-পাঁচবার গোসল করানো—এভাবেই চলছে এর যত্ন।

গত বছর ব্যাপারীরা এই গরুর দাম হাঁকিয়েছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার কৃষক পরিবার আশা করেছিল ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে। কিন্তু কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে এলেও ক্রেতার দেখা নেই। এখন খরচের দাম, অর্থাৎ ৭ লাখ টাকা পেলেই গরুটি বিক্রি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন টুটুল শেখ।

মিরানা খাতুন বলেন, “গরুটিকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। সারাক্ষণ গোয়ালঘরে থাকি, গোসল করাই, বাতাস করি। বিক্রির কথা শুনে কান্না পাচ্ছে।” ছেলে সুরুজ আলী বলেন, “এত বড় গরু ঢাকায় নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। ডাকাতি বা মরে যাওয়ার ভয় আছে। তাই বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চাই। এখন শুধু খরচের টাকা পেলেই ছাড়ব।” তিনি জানান, ভবিষ্যতে আর বড় গরু পালন করবেন না।

স্থানীয় কৃষক আজিজ মোল্লা বলেন, “এত বড় গরু এলাকায় আগে কখনো দেখিনি। প্রতিদিন লোকজন দেখতে আসে। কিন্তু এবার বড় গরু কেনার লোক নেই।” বিশাল আকৃতির কালো পাহাড় স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু হলেও বাজারে দাম না মেলায় কৃষক পরিবার হতাশ।