ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

আগাম নির্বাচনে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিরোধী নেতার জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:৪১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী নেতা লি জে-মিয়ং নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। মাত্র ছয় মাস আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক শাসন জারির চেষ্টা করে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

এই ঘটনা তাকে অভিশংসন ও পদচ্যুতির দিকে ঠেলে দেয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা চলছে। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আগাম নির্বাচনে লি জে-মিয়ং বিজয়ী হন।

লি’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী কিম মুন-সু, যিনি ইউনের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। জনমত জরিপে পিছিয়ে থাকা কিম বুধবার ভোরে পরাজয় স্বীকার করেন এবং লি’কে অভিনন্দন জানান। লি বলেছেন, তার প্রথম অগ্রাধিকার হবে দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।

লি জে-মিয়ংয়ের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাকে একটি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, যারা এখনো ইউনের সামরিক শাসনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আন্তর্জাতিকভাবেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে শুল্কের চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

তিন বছর আগে লি জে-মিয়ং ইউনের কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরেছিলেন। এবার তার এই জয়কে পিপল পাওয়ার পার্টির প্রতি জনগণের প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে আরেক প্রার্থী লি জুন সক তরুণ পুরুষ ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন।

তবে এক্সিট পোল অনুযায়ী, তিনি মাত্র ৭.৭% ভোট পেয়ে ছিটকে পড়েন। তার নারীবাদবিরোধী অবস্থান বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আগাম নির্বাচনে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিরোধী নেতার জয়

আপডেট সময় ০২:৪১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী নেতা লি জে-মিয়ং নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। মাত্র ছয় মাস আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক শাসন জারির চেষ্টা করে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

এই ঘটনা তাকে অভিশংসন ও পদচ্যুতির দিকে ঠেলে দেয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা চলছে। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আগাম নির্বাচনে লি জে-মিয়ং বিজয়ী হন।

লি’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী কিম মুন-সু, যিনি ইউনের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। জনমত জরিপে পিছিয়ে থাকা কিম বুধবার ভোরে পরাজয় স্বীকার করেন এবং লি’কে অভিনন্দন জানান। লি বলেছেন, তার প্রথম অগ্রাধিকার হবে দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।

লি জে-মিয়ংয়ের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাকে একটি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, যারা এখনো ইউনের সামরিক শাসনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আন্তর্জাতিকভাবেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে শুল্কের চাপ কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

তিন বছর আগে লি জে-মিয়ং ইউনের কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরেছিলেন। এবার তার এই জয়কে পিপল পাওয়ার পার্টির প্রতি জনগণের প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে আরেক প্রার্থী লি জুন সক তরুণ পুরুষ ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন।

তবে এক্সিট পোল অনুযায়ী, তিনি মাত্র ৭.৭% ভোট পেয়ে ছিটকে পড়েন। তার নারীবাদবিরোধী অবস্থান বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।