ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

যেসব কারণে কোরবানি কবুল হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। কোরবানির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও তাকওয়া প্রকাশ করে। কিন্তু কিছু কাজ কোরবানির মাহাত্ম্য নষ্ট করে। আর এসব কারণে কোরবানিকে আল্লাহ কবুল করেনা। 

কোরবানি একটি পবিত্র ইবাদত, যা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আনুগত্যের প্রতীক। তিনি আল্লাহর হুকুমে সন্তান ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর তাকওয়া কবুল করে পশু কোরবানির বিধান দেন।

কোরআনে বলা হয়েছে, “আল্লাহর কাছে পৌঁছে না গোশত বা রক্ত, পৌঁছে তাকওয়া।” তাই কোরবানিতে আন্তরিকতা ও তাকওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু কাজ এই ইবাদতের মাহাত্ম্য নষ্ট করে।

প্রথমত, হারাম উপার্জনের টাকায় কোরবানি করা নিষিদ্ধ। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ শুধু পবিত্র ও হালাল জিনিস গ্রহণ করেন।

দ্বিতীয়ত, লোক দেখানো বা প্রশংসার আশায় কোরবানি করলে তা কবুল হয় না। তৃতীয়ত, বড় পশু কিনে অহংকার করা বা অন্যকে ছোট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কোরবানির জন্য যৌতুকের মাধ্যমে পশু আদায় করা বা কাউকে চাপে ফেলা অন্যায়। এটি কোরবানির উদ্দেশ্যকে বিনষ্ট করে।

এছাড়া, লোকলজ্জার ভয়ে বা শুধু গোশত খাওয়ার আশায় কোরবানি করাও ইবাদতের মর্যাদা কমায়।

পশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ, যেমন ভোঁতা ছুরি দিয়ে জবাই করা বা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না নেওয়া, কোরবানির পবিত্রতা নষ্ট করে।

হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ সবকিছুর প্রতি দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। জবাইয়ের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ না বললে গোশত হালাল হয় না, কোরবানিও কবুল হয় না।

এছাড়া, কোরবানির গোশত বা চামড়া বিক্রি করা বা কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া নিষেধ। হাদিসে রাসুল (সা.) এটি থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।

কোরবানির পশু কেনার সময় সামর্থ্যের মধ্যে থাকুন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়ত পবিত্র রাখুন। পশুর প্রতি দয়াশীল হোন এবং জবাইয়ের সময় সঠিক নিয়ম মানুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

যেসব কারণে কোরবানি কবুল হয় না

আপডেট সময় ০৩:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। কোরবানির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও তাকওয়া প্রকাশ করে। কিন্তু কিছু কাজ কোরবানির মাহাত্ম্য নষ্ট করে। আর এসব কারণে কোরবানিকে আল্লাহ কবুল করেনা। 

কোরবানি একটি পবিত্র ইবাদত, যা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আনুগত্যের প্রতীক। তিনি আল্লাহর হুকুমে সন্তান ইসমাঈল (আ.)-কে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর তাকওয়া কবুল করে পশু কোরবানির বিধান দেন।

কোরআনে বলা হয়েছে, “আল্লাহর কাছে পৌঁছে না গোশত বা রক্ত, পৌঁছে তাকওয়া।” তাই কোরবানিতে আন্তরিকতা ও তাকওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু কাজ এই ইবাদতের মাহাত্ম্য নষ্ট করে।

প্রথমত, হারাম উপার্জনের টাকায় কোরবানি করা নিষিদ্ধ। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ শুধু পবিত্র ও হালাল জিনিস গ্রহণ করেন।

দ্বিতীয়ত, লোক দেখানো বা প্রশংসার আশায় কোরবানি করলে তা কবুল হয় না। তৃতীয়ত, বড় পশু কিনে অহংকার করা বা অন্যকে ছোট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কোরবানির জন্য যৌতুকের মাধ্যমে পশু আদায় করা বা কাউকে চাপে ফেলা অন্যায়। এটি কোরবানির উদ্দেশ্যকে বিনষ্ট করে।

এছাড়া, লোকলজ্জার ভয়ে বা শুধু গোশত খাওয়ার আশায় কোরবানি করাও ইবাদতের মর্যাদা কমায়।

পশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ, যেমন ভোঁতা ছুরি দিয়ে জবাই করা বা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না নেওয়া, কোরবানির পবিত্রতা নষ্ট করে।

হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ সবকিছুর প্রতি দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। জবাইয়ের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ না বললে গোশত হালাল হয় না, কোরবানিও কবুল হয় না।

এছাড়া, কোরবানির গোশত বা চামড়া বিক্রি করা বা কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া নিষেধ। হাদিসে রাসুল (সা.) এটি থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।

কোরবানির পশু কেনার সময় সামর্থ্যের মধ্যে থাকুন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়ত পবিত্র রাখুন। পশুর প্রতি দয়াশীল হোন এবং জবাইয়ের সময় সঠিক নিয়ম মানুন।