ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

পিরোজপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুণীর অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় যুবকের বাড়িতে এক তরুণী অনশন করছে। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের গড়ঘাটা গ্রামের আজহার আলী শেখের বাড়িতে। অনশনে থাকা তরুণীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাইল উপজেলার লাখাইল গ্রামে।

গড়ঘাটা গ্রামে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, প্রেমিক আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। বাড়ির সামনে তরুণী রাস্তায় অবস্থান করছিল। এ সময় সাংবাদিকদের আসার খবর পেয়ে বাড়ি আসে আব্দুল্লাহর মা ও স্থানীয়রা। এ সময় তরুণীর ওপরে মারমুখী অবস্থান নেয় পরিবার। অনশনরত তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন।

ওই তরুণীর দাবি, আব্দুল্লাহ শেখ চাকরি করার সুবাদে হবিগঞ্জে যাতায়াত করত। সেখান থেকে তাদের পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে তিন মাসের প্রেম। এর মধ্যে গত রোজার ঈদের দিন ফোন করে তরুণীকে ওর বাসায় আসতে বলে। আব্দুল্লাহ শেখ ব্যাচেলর থাকে। সঙ্গে থাকে আরও কয়েকজন। তারা সবাই গ্রামের বাড়িতে চলে গেলে সেই সুযোগ তরুণীকে বাসায় ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর স্থানীয় এক হুজুরকে ডেকে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করে আব্দুল্লাহ। এরপর এক সপ্তাহ ধরে তারা ওই বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে।

তরুণী বলেন, কিছু দিন আগে আব্দুল্লাহর বিয়ে ঠিক হয়েছে আমি জানতে পারি। এটা জেনে আব্দুল্লাহকে কল দিলে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর থেকে আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ না হলে আমি আব্দুল্লাহর গ্রামের বাড়ি আসি। ওর পরিবার ও স্থানীয়রা আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমাকে যদি আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার স্ত্রীর মর্যাদা না দেয় তাহলে আত্মহত্যা করব।

স্থানীয়রা জানান, এমন ঘটনা আমরা এর আগে দেখি নাই, তাই দেখতে আসছি। আবার অনেকে বলেছেন, তার কাছে যদি বিয়ের ডকুমেন্টস বা কাবিননামা থাকে তাহলে আমরা স্থানীয়রা বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে একটা সমাধান করব।

আব্দুল্লাহর মা বলেন, ওই মেয়েকে আমরা চিনি না, আর আমার ছেলে ওইখানে কখনও চাকরি করে নাই। সে যদি আমার ছেলের বউ হয় তাহলে কাবিননামা দেখাতে বলেন। কাবিননামা দেখালে আমি বউ হিসেবে মেনে নেব।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূইয়া জানান, এলাকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

পিরোজপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুণীর অনশন

আপডেট সময় ০৪:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় যুবকের বাড়িতে এক তরুণী অনশন করছে। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের গড়ঘাটা গ্রামের আজহার আলী শেখের বাড়িতে। অনশনে থাকা তরুণীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাইল উপজেলার লাখাইল গ্রামে।

গড়ঘাটা গ্রামে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, প্রেমিক আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। বাড়ির সামনে তরুণী রাস্তায় অবস্থান করছিল। এ সময় সাংবাদিকদের আসার খবর পেয়ে বাড়ি আসে আব্দুল্লাহর মা ও স্থানীয়রা। এ সময় তরুণীর ওপরে মারমুখী অবস্থান নেয় পরিবার। অনশনরত তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন।

ওই তরুণীর দাবি, আব্দুল্লাহ শেখ চাকরি করার সুবাদে হবিগঞ্জে যাতায়াত করত। সেখান থেকে তাদের পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে তিন মাসের প্রেম। এর মধ্যে গত রোজার ঈদের দিন ফোন করে তরুণীকে ওর বাসায় আসতে বলে। আব্দুল্লাহ শেখ ব্যাচেলর থাকে। সঙ্গে থাকে আরও কয়েকজন। তারা সবাই গ্রামের বাড়িতে চলে গেলে সেই সুযোগ তরুণীকে বাসায় ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর স্থানীয় এক হুজুরকে ডেকে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করে আব্দুল্লাহ। এরপর এক সপ্তাহ ধরে তারা ওই বাসায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে।

তরুণী বলেন, কিছু দিন আগে আব্দুল্লাহর বিয়ে ঠিক হয়েছে আমি জানতে পারি। এটা জেনে আব্দুল্লাহকে কল দিলে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর থেকে আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ না হলে আমি আব্দুল্লাহর গ্রামের বাড়ি আসি। ওর পরিবার ও স্থানীয়রা আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমাকে যদি আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার স্ত্রীর মর্যাদা না দেয় তাহলে আত্মহত্যা করব।

স্থানীয়রা জানান, এমন ঘটনা আমরা এর আগে দেখি নাই, তাই দেখতে আসছি। আবার অনেকে বলেছেন, তার কাছে যদি বিয়ের ডকুমেন্টস বা কাবিননামা থাকে তাহলে আমরা স্থানীয়রা বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে একটা সমাধান করব।

আব্দুল্লাহর মা বলেন, ওই মেয়েকে আমরা চিনি না, আর আমার ছেলে ওইখানে কখনও চাকরি করে নাই। সে যদি আমার ছেলের বউ হয় তাহলে কাবিননামা দেখাতে বলেন। কাবিননামা দেখালে আমি বউ হিসেবে মেনে নেব।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূইয়া জানান, এলাকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।