৫ আগস্টের আগেই ফিরছেন তারেক!

- আপডেট সময় ০২:৫১:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
২০০৮ সাল থেকে ঠিকানা যুক্তরাজ্যের লন্ডন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সেই উত্তাল সময়ে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল বিএনপির এই নেতাকে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার এড়াতেই বিদেশে পাড়ি জমান তিনি।
২০০৭ সালের ১৬ মার্চ। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। দুর্নীতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কিন্তু ২০০৮ সালের এপ্রিলে চিকিৎসার নামে জামিন পেয়ে লন্ডন চলে যান তিনি। এরপর থেকেই শুরু হয় দীর্ঘ ১৬ বছরের নির্বাসন!
তবে দলীয় কর্মীদের জন্য সুখবর হলো শিগগির দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। আর তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে উত্তাল সমর্থকরা।
নির্বাসনের ১৫ বছর পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন তারেক। এবার স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি! দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনের ভাষায়, ‘তিনি মাঠে নেমেই নেতৃত্ব দেবেন গণতন্ত্রের লড়াইয়ে’।
আর এই ফেরার পথে সবচেয়ে বড় মাইলফলক ছিল গত ১৩ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক—যা রাজনৈতিক জটিলতা কাটাতে সাহায্য করেছে।”
“স্বাগত অনুষ্ঠান হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক জমায়েত! ২০ লাখ সমর্থকের লক্ষ্য নিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে শুরু হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনের কাজ।
সারা দেশ থেকে আসবেন হাজার হাজার কর্মী। সূত্র বলছে, সম্ভাব্য তারিখ ৫ আগস্টের আগে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে তা আরও ত্বরান্বিত হতে পারে।”
“৮৭টি মামলার বোঝা পেরিয়ে কীভাবে ফিরছেন তারেক? আইনজীবী ব্যারিস্টার কামাল হোসেন বলছেন, ‘বাকি মামলাগুলোতে জামিন মিলেছে, ফেরার পথে কোনো আইনি বাধা নেই’।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. তানজিম উদ্দিন সতর্ক করছেন, ‘এই ফেরা নিয়ে সরকার ও সতর্ক পর্যবেক্ষণে আছে’।”
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। হাতে সময় মাত্র ৮ মাস। সমর্থকদের আশা, মনোনয়ন বাছাই থেকে প্রচার—সবকিছুতেই সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন তারেক। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ভাষায়, ‘তিনিই আমাদের একমাত্র বিকল্প’।”