ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের হামলায় ২১ মুসলিম দেশের নিন্দা

ঢাকা প্রেস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা অঞ্চলটির শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ২১টি মুসলিম দেশ একযোগে ইরানের উপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

শুধু নিন্দাই নয়, তারা দ্রুত উত্তেজনা কমানো এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে। আলজাজিরার খবরে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার, ১৬ই জুন, একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে এই নিন্দা এবং শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো মিশর, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, শাদ, কোমোরোস, জিবুতি, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। অর্থাৎ, আরব বিশ্ব থেকে শুরু করে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল, এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোও এই আহ্বানে শামিল হয়েছে।

এই দেশগুলো তাদের চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। আর তাই, এখন জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চায়, মধ্যপ্রাচ্য যেন পরমাণু অস্ত্রমুক্ত থাকে। একইসাথে, তারা এই অঞ্চলের সব রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি নন-প্রোলিফারেশন অব নিউক্লিয়ার উইপন (NPT)-এ স্বাক্ষর করারও আহ্বান জানিয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, মুসলিম বিশ্বের বড় অংশ এই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

গত শুক্রবার থেকে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েল ইরানে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে, যার জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। এই সংঘাতে উভয় দেশের তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম এতগুলো মুসলিম দেশ একসঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিল। এই সম্মিলিত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি কেবল সংঘাতের নিন্দা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের হামলায় ২১ মুসলিম দেশের নিন্দা

আপডেট সময় ১২:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা অঞ্চলটির শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ২১টি মুসলিম দেশ একযোগে ইরানের উপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

শুধু নিন্দাই নয়, তারা দ্রুত উত্তেজনা কমানো এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে। আলজাজিরার খবরে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার, ১৬ই জুন, একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে এই নিন্দা এবং শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো মিশর, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, শাদ, কোমোরোস, জিবুতি, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। অর্থাৎ, আরব বিশ্ব থেকে শুরু করে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল, এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোও এই আহ্বানে শামিল হয়েছে।

এই দেশগুলো তাদের চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। আর তাই, এখন জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চায়, মধ্যপ্রাচ্য যেন পরমাণু অস্ত্রমুক্ত থাকে। একইসাথে, তারা এই অঞ্চলের সব রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি নন-প্রোলিফারেশন অব নিউক্লিয়ার উইপন (NPT)-এ স্বাক্ষর করারও আহ্বান জানিয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, মুসলিম বিশ্বের বড় অংশ এই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

গত শুক্রবার থেকে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েল ইরানে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে, যার জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। এই সংঘাতে উভয় দেশের তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম এতগুলো মুসলিম দেশ একসঙ্গে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিল। এই সম্মিলিত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি কেবল সংঘাতের নিন্দা নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।