ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর!

নিখোঁজ ভারতীয় মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

বিনোদন প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০১:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

গ্ল্যামার জগতের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক অন্ধকার সত্য আবারও সামনে এলো। শুটিংয়ে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না ভারতীয় মডেল শীতলের।

নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশি তদন্তে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘিরে অভিযোগের তীর উঠেছে তার কথিত প্রেমিকের দিকে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানার সোনিপথে। গত শনিবার, ১৪ই জুন, মডেল শীতল শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

পরদিন রবিবার, ১৫ই জুন, সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, শীতলকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পানিপথের খালিলা মাজরা গ্রামের বাসিন্দা শীতল, যিনি ‘সিমি চৌধুরী’ নামেও পরিচিত ছিলেন, মডেলিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করতেন। মডেলিং শুরু করার আগে তিনি কর্ণালের একটি হোটেলে কাজ করতেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় শীতলের কথিত প্রেমিক সুনীলকে আটক করেছে পুলিশ। শীতলের পরিবারের দাবি, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সুনীল বারবার শীতলকে হুমকি দিতেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।

নিহত শীতলের বোন নেহা পুলিশকে জানিয়েছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শনিবার রাতে ভিডিও কলে শীতল তাকে জানান যে, তিনি আহার গ্রামে একটি অ্যালবাম শুটিংয়ে গেছেন।

সেই সময়ই তিনি বলেন, প্রেমিক সুনীল সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মারধর করছেন এবং জোর করে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছেন। কথা বলার মাঝপথেই কলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এরপর থেকে শীতলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নেহার ভাষ্য অনুযায়ী, শীতলের সঙ্গে সুনীলের পরিচয় হয়েছিল ছয় মাস আগে, যখন শীতল একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরে শীতল জানতে পারেন, সুনীল বিবাহিত এবং তার দুই সন্তানও আছে। এরপর শীতল হোটেল ছেড়ে মডেলিংয়ে মনোনিবেশ করেন, কিন্তু সুনীল তার পিছু ছাড়েননি।

রবিবার সকালে পানিপথ জেলার একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সুনীলকে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সোমবার তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর!

নিখোঁজ ভারতীয় মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

গ্ল্যামার জগতের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক অন্ধকার সত্য আবারও সামনে এলো। শুটিংয়ে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না ভারতীয় মডেল শীতলের।

নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশি তদন্তে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘিরে অভিযোগের তীর উঠেছে তার কথিত প্রেমিকের দিকে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানার সোনিপথে। গত শনিবার, ১৪ই জুন, মডেল শীতল শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

পরদিন রবিবার, ১৫ই জুন, সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, শীতলকে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পানিপথের খালিলা মাজরা গ্রামের বাসিন্দা শীতল, যিনি ‘সিমি চৌধুরী’ নামেও পরিচিত ছিলেন, মডেলিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করতেন। মডেলিং শুরু করার আগে তিনি কর্ণালের একটি হোটেলে কাজ করতেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় শীতলের কথিত প্রেমিক সুনীলকে আটক করেছে পুলিশ। শীতলের পরিবারের দাবি, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সুনীল বারবার শীতলকে হুমকি দিতেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।

নিহত শীতলের বোন নেহা পুলিশকে জানিয়েছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শনিবার রাতে ভিডিও কলে শীতল তাকে জানান যে, তিনি আহার গ্রামে একটি অ্যালবাম শুটিংয়ে গেছেন।

সেই সময়ই তিনি বলেন, প্রেমিক সুনীল সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মারধর করছেন এবং জোর করে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছেন। কথা বলার মাঝপথেই কলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এরপর থেকে শীতলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নেহার ভাষ্য অনুযায়ী, শীতলের সঙ্গে সুনীলের পরিচয় হয়েছিল ছয় মাস আগে, যখন শীতল একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরে শীতল জানতে পারেন, সুনীল বিবাহিত এবং তার দুই সন্তানও আছে। এরপর শীতল হোটেল ছেড়ে মডেলিংয়ে মনোনিবেশ করেন, কিন্তু সুনীল তার পিছু ছাড়েননি।

রবিবার সকালে পানিপথ জেলার একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সুনীলকে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সোমবার তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।