ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আলোচিত ঘটনা

- আপডেট সময় ০৩:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। গত কয়েক দিনে শতাধিক প্রাণহানি, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করেছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।
ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র, তেহরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শাহরান তেল ডিপোতে হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যার ৯০ শতাংশ বেসামরিক নাগরিক, এর মধ্যে ৫৪ জন নারী ও শিশু।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কমান্ডার হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি ও মোহাম্মদ তেহরানচি।
ইরান পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের তেল আভিভ ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। হাইফার তেল শোধনাগার ও বাট ইয়ামের আবাসিক ভবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, এতে ২৪ জন নিহত এবং প্রায় ৬০০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ইসরায়েল ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি স্টেশনে হামলা চালায়, যাতে সাংবাদিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ভোরে ইরান তেল আভিভ ও জেরুজালেমে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বহু বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তবে আরও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়ে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানের কথা বললেও ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি সতর্ক করে বলেছে, নাতাঞ্জে পারমাণবিক দূষণের ঝুঁকি রয়েছে। সংঘাত যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ বাড়ছে। এই সংকট কীভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব শান্তিকে প্রভাবিত করবে, তা এখনো অজানা।