ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না

- আপডেট সময় ০৩:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ২৬২ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭, ইরানকে নিয়ে এক অত্যন্ত কঠোর বার্তা দিয়েছে। কানাডায় চলমান ৫১তম সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ সদস্য দেশগুলো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, “ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না।” একইসাথে, বিবৃতিতে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
জি-৭ এর এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরানি সংকটের সমাধান হলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে কমে যাবে, যার মধ্যে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতিও অন্তর্ভুক্ত। এর মাধ্যমে জি-৭ মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক শান্তি প্রক্রিয়ায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে একটি মূল বাধা হিসেবে তুলে ধরেছে।
সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই কানাডা ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, সোমবার রাতের খাবারের পরেই প্রেসিডেন্ট সম্মেলন ছেড়ে ফিরে এসেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণেই তিনি ফিরে এসেছেন বলে জানানো হলেও, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। তবে, সোমবার বিশ্বনেতাদের সাথে ফটো সেশনের সময় ট্রাম্প নিজেই জানান, বড় কিছুর জন্য ওয়াশিংটনে ফিরে যাওয়া জরুরি। তার এই হঠাৎ ফেরা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে তেহরানের পক্ষ থেকে কাতার, সৌদি আরব ও ওমানকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ইরানের চাওয়া, ট্রাম্প যেন ইসরায়েলের ওপর তার প্রভাব খাটিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে উদ্যোগী হন।
বিনিময়ে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা আলোচনায় নমনীয়তা দেখাবে বলে জানিয়েছে। দুজন ইরানি এবং ওই অঞ্চলের তিনটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ইরান একদিকে চলমান সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে, অন্যদিকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর একটি পথ খুঁজছে।
তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে কতটা সাড়া দেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। জি-৭ এর কঠোর অবস্থান এবং ইরানের পক্ষ থেকে নমনীয়তার ইঙ্গিত – এই দুইয়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যতের রূপরেখা লুকিয়ে আছে।