বাংলাদেশ সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে । টাইগাররা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। জবাবে জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রানে অলআউট হয়। ফলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল প্রথম ইনিংসেই ৮২ রানে পিছিয়ে পড়ে।

তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা বন্ধ হয়। এর আগে চার উইকেটে ১৯৪ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। এখন পর্যন্ত লিড ১১২ রানের।

শেষ বিকেলে অধিনায়ক শান্ত আর জাকের আলী দলকে ভরসা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তারা ১৫.২ ওভার ব্যাটিং করে অবিচ্ছিন্ন আছেন ৩৯ রানে।

টাইগার অধিনায়ক শান্ত এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নিয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১০৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬০ রানে অপরাজিত আছেন। ৬০ বলে তিন বাউন্ডারিতে জাকের অপরাজিত ২১ রানে।

এর আগে তৃতীয় দিনে ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা সময়মতো শুরু করা যায়নি। সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। কেউ কেউ সিলেটের আকাশের অবস্থা দেখে পুরো দিনের খেলাই ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু না। প্রায় দুই ঘণ্টা পর হলেও অবশেষে বৃষ্টি থামে। এরপর দুপুর একটায় খেলা শুরু হয়।

খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন জয়। দিনের সপ্তম ওভারে জিম্বাবুয়ে পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বলে প্রথম স্লিপে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৬৫ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ২৪ বছর বয়সী ব্যাটার।

তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত দেখেশুনে খেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ৬৫ রানের জুটিও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু ৩৫তম ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুয়েকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ভিক্টর নুয়াসি। বাঁহাতি মুমিনুলকে উইকেটরক্ষক নায়াশা মায়ভোর হাতের ক্যাচ বানান তিনি।

মুমিনুল ৮৪ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করলেও এবার আউট হন মাত্র তিন রান দূরে। দলীয় ১৩৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও দলীয় স্কোরকার্ডে ১৭ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরত যান। ২০ বলে ৪ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে প্রথম স্লিপে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ হন তিনি। মুশফিকের আউটের পরপরই পড়ে চা বিরতির ঘণ্টা।