আমরা আশা করি মেয়েরা গণহারে ভোট দিতে আসবেন-উমামা ফাতেমা

- আপডেট সময় ০৬:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫২ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রীদের ভোটই হবে মূল ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। তাঁর মতে, এবার মোট ভোটারের ৪৭ শতাংশই ছাত্রী এবং তাঁরাই ডাকসুর গতিমুখ নির্ধারণ করবেন।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রচারকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এবারের মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, যার মধ্যে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন ছাত্রী ভোটার।
মেয়েদের ভোটেই ফল নির্ধারিত হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উমামা ফাতেমা বলেন, মেয়েরা সহজে প্রভাবিত হন না, তাঁদের মধ্যে যুক্তিসংগত চিন্তাভাবনা থাকে এবং স্বাধীনচেতা হয়ে ভোট দেওয়ার মানসিকতা বেশি। ফলে এবার ৪৭ শতাংশ ছাত্রী ভোটার কোন প্রার্থীকে বেছে নেবেন, সেটিই ডাকসুর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাঁর ভাষায়, “আমি মনে করি, মেয়েরাই এবার ডাকসুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার বড় ফ্যাক্টর।”
তবে ছাত্রীদের ভোটকেন্দ্রে আনা বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উমামা ফাতেমা জানান, অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে বাসায় চলে গেছেন, কেউ কেউ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ছুটিতে আছেন, আবার অনেকেই ডাকসুকে কেবল রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে ভোটে আগ্রহী নন। এ ছাড়া অনেক পরিবার থেকে ফোন করে ছাত্রীদের বাসায় ডেকে নেওয়া হয়েছে। এসব কারণে ভোটকেন্দ্রে তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, মেয়েদের ভোটকেন্দ্রগুলো হল থেকে দূরে দূরে রাখা হয়েছে, যা তাঁদের অংশগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তবুও আশাবাদী উমামা ফাতেমা বলেছেন, যদি ছাত্রীরা সবাই ভোট দিতে আসেন, তাহলে ভোটার অংশগ্রহণ ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। “আমরা আশা করি, মেয়েরা গণহারে ভোট দিতে আসবেন। আমরা তাঁদের উৎসাহিত করছি,” যোগ করেন তিনি।
নিজ দলের ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন কিছু রাখা হয়নি যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আগামী ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই প্রশাসন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসংগঠনের মধ্যে সামাজিক সংলাপ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান উমামা ফাতেমা।