ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

    খিঁচুনি কেন হয়, আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১০:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
    • / ২৯১ বার পড়া হয়েছে

    খিঁচুনি হলো মাংসপেশির অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন, যা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে পাঁচ মিনিটের বেশি খিঁচুনি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

    খিঁচুনির কারণ:

    • জ্বর: বিশেষ করে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জ্বরের সময় খিঁচুনি হতে পারে।
    • মস্তিষ্কের সংক্রমণ: মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি।
    • বিপাকীয় সমস্যা: রক্তে গ্লুকোজের অভাব (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা।
    • মস্তিষ্কের আঘাত: আঘাত, টিউমার, স্ট্রোক।
    • মৃগীরোগ: মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের অস্বাভাবিকতা।
    • কিছু রাসায়নিক বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া।

    খিঁচুনির লক্ষণ:

    • মাংসপেশির অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন বা ঝাঁকুনি।
    • জ্ঞান হারানো বা চেতনা হ্রাস।
    • চোখ উল্টানো।
    • মুখ থেকে লালা বের হওয়া।
    • প্রস্রাব বা পায়খানা অনিয়ন্ত্রণ।
    • জিভে কামড় লাগা।
    • অস্বাভাবিক আচরণ বা বিভ্রান্তি।

    খিঁচুনি হলে করণীয়:

    • রোগীকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
    • গলার টাই বা নেকলেস ঢিলো করে দিন।
    • রোগীকে একপাশে কাত করে শুইয়ে দিন।
    • মুখে কিছু জমে থাকলে পরিষ্কার করুন।
    • রোগীকে শান্ত করার চেষ্টা করুন।
    • পাঁচ মিনিটের বেশি খিঁচুনি হলে বা রোগীর শ্বাস নিতে সমস্যা হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

    প্রতিরোধের উপায়:

    • পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম।
    • নিয়মিত ওষুধ সেবন।
    • সুষম খাদ্য গ্রহণ।
    • রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ।
    • খিঁচুনি সৃষ্টিকারী কারণগুলো এড়িয়ে চলা।
    • নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

    গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

    • খিঁচুনি হলে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকুন এবং রোগীকে নিরাপদে রাখুন।
    • কখনোই রোগীর মুখে কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না।
    • খিঁচুনি বন্ধ হওয়ার পর রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় দিন।
    • খিঁচুনির কারণ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
    ট্যাগস :

    নিউজটি শেয়ার করুন

    খিঁচুনি কেন হয়, আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    আপডেট সময় ১০:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

    খিঁচুনি হলো মাংসপেশির অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন, যা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে পাঁচ মিনিটের বেশি খিঁচুনি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

    খিঁচুনির কারণ:

    • জ্বর: বিশেষ করে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জ্বরের সময় খিঁচুনি হতে পারে।
    • মস্তিষ্কের সংক্রমণ: মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি।
    • বিপাকীয় সমস্যা: রক্তে গ্লুকোজের অভাব (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা।
    • মস্তিষ্কের আঘাত: আঘাত, টিউমার, স্ট্রোক।
    • মৃগীরোগ: মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের অস্বাভাবিকতা।
    • কিছু রাসায়নিক বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া।

    খিঁচুনির লক্ষণ:

    • মাংসপেশির অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন বা ঝাঁকুনি।
    • জ্ঞান হারানো বা চেতনা হ্রাস।
    • চোখ উল্টানো।
    • মুখ থেকে লালা বের হওয়া।
    • প্রস্রাব বা পায়খানা অনিয়ন্ত্রণ।
    • জিভে কামড় লাগা।
    • অস্বাভাবিক আচরণ বা বিভ্রান্তি।

    খিঁচুনি হলে করণীয়:

    • রোগীকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
    • গলার টাই বা নেকলেস ঢিলো করে দিন।
    • রোগীকে একপাশে কাত করে শুইয়ে দিন।
    • মুখে কিছু জমে থাকলে পরিষ্কার করুন।
    • রোগীকে শান্ত করার চেষ্টা করুন।
    • পাঁচ মিনিটের বেশি খিঁচুনি হলে বা রোগীর শ্বাস নিতে সমস্যা হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

    প্রতিরোধের উপায়:

    • পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম।
    • নিয়মিত ওষুধ সেবন।
    • সুষম খাদ্য গ্রহণ।
    • রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ।
    • খিঁচুনি সৃষ্টিকারী কারণগুলো এড়িয়ে চলা।
    • নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

    গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

    • খিঁচুনি হলে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকুন এবং রোগীকে নিরাপদে রাখুন।
    • কখনোই রোগীর মুখে কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না।
    • খিঁচুনি বন্ধ হওয়ার পর রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় দিন।
    • খিঁচুনির কারণ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।