ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    জেন-জি বিক্ষোভে চাপের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০৪:১২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দেশের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের দুই দিন পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। তার সহকারী প্রকাশ সিলওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

    জেন-জেড প্রোটেস্ট বা জেন-জি বিক্ষোভ নামে পরিচিত এই আন্দোলনের একটি প্রধান দাবি ছিল ওলির পদত্যাগ। বিক্ষোভকারীরা নেপালের পার্লামেন্ট ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওলির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

    পদত্যাগের আগে মঙ্গলবার ভোর থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা নেপালে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। উত্তেজিত জনতা একাধিক প্রভাবশালী নেতার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলার শিকার হন কেপি শর্মা ওলি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাদের বাসভবন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়গুলোও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

    সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    এর আগে, তরুণদের আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের পর দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সংকট নিরসনে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পদত্যাগের আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, বৈঠকটি সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে, তবে কোথায় তা বসবে তা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি যোগ করেন, এই সংকটের সমাধান একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব।

    ওলি আরও বলেন, “রাজধানীসহ সারা দেশে সোমবারের বিক্ষোভ ও পরবর্তী ঘটনাগুলো আমাকে দুঃখিত করেছে। কোনো ধরনের সহিংসতা দেশের স্বার্থে ভালো নয়। শান্তিপূর্ণ ও আলোচনাভিত্তিক সমাধানই এখন প্রয়োজন।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জেন-জি বিক্ষোভে চাপের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

    আপডেট সময় ০৪:১২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দেশের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যাপক সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের দুই দিন পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। তার সহকারী প্রকাশ সিলওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

    জেন-জেড প্রোটেস্ট বা জেন-জি বিক্ষোভ নামে পরিচিত এই আন্দোলনের একটি প্রধান দাবি ছিল ওলির পদত্যাগ। বিক্ষোভকারীরা নেপালের পার্লামেন্ট ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওলির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

    পদত্যাগের আগে মঙ্গলবার ভোর থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা নেপালে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। উত্তেজিত জনতা একাধিক প্রভাবশালী নেতার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলার শিকার হন কেপি শর্মা ওলি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাদের বাসভবন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়গুলোও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

    সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    এর আগে, তরুণদের আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়নের পর দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সংকট নিরসনে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পদত্যাগের আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, বৈঠকটি সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে, তবে কোথায় তা বসবে তা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি যোগ করেন, এই সংকটের সমাধান একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব।

    ওলি আরও বলেন, “রাজধানীসহ সারা দেশে সোমবারের বিক্ষোভ ও পরবর্তী ঘটনাগুলো আমাকে দুঃখিত করেছে। কোনো ধরনের সহিংসতা দেশের স্বার্থে ভালো নয়। শান্তিপূর্ণ ও আলোচনাভিত্তিক সমাধানই এখন প্রয়োজন।”