ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ডাকসু নির্বাচনে সরাসরি ভোট চাওয়ায় বহিষ্কার ইমতিয়াজ আলী সুজন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে শৃঙ্খলাভঙ্গের এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় খুলনার রূপসা উপজেলার ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আলী সুজনকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

    শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনো প্রকার সাংগঠনিক নির্দেশনা ছাড়াই ভোটারদের কাছে সরাসরি ভোট চাওয়ার কারণে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পূর্ব রূপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ফোনালাপ এই বিতর্কের সূত্রপাত করে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সুজন নিজেকে ছাত্রদলের স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে এক ভোটারকে ডাকসু নির্বাচনে “আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ”-এর প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতে শোনা যায়। তিনি বিশেষভাবে জিএস পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমকে ‘খুলনার ছেলে’ এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলালের ভাতিজা হিসেবে পরিচয় করিয়ে সমর্থন চেয়েছিলেন।

    এরপর সুজন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হামিমের পক্ষে একাধিক নির্বাচনী পোস্ট শেয়ার করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বিষয়টিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করে। ইমতিয়াজ আলী সুজন রূপসা সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়ভাবে উত্তর রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে তাকে বহিষ্কার করা শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়—এটি ছাত্রদলের ভেতরে শৃঙ্খলা রক্ষার একটি বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও ছাত্রদল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী বা প্যানেল ঘোষণা করেনি, তবুও অনেক নেতাকর্মী গোপনে ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সুজনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে কার্যত একটি সিগন্যাল দিয়েছে যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যক্তিগতভাবে প্রচারণা চালালে শাস্তি অনিবার্য।

    ছাত্রদলের এ বহিষ্কার কেবল একটি সাংগঠনিক পদক্ষেপ নয়; বরং এটি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সতর্কবার্তা। বিশেষ করে ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হলে ছাত্রদলের ভেতরে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ডাকসু নির্বাচনে সরাসরি ভোট চাওয়ায় বহিষ্কার ইমতিয়াজ আলী সুজন

    আপডেট সময় ০১:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে শৃঙ্খলাভঙ্গের এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় খুলনার রূপসা উপজেলার ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আলী সুজনকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

    শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোনো প্রকার সাংগঠনিক নির্দেশনা ছাড়াই ভোটারদের কাছে সরাসরি ভোট চাওয়ার কারণে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পূর্ব রূপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ফোনালাপ এই বিতর্কের সূত্রপাত করে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সুজন নিজেকে ছাত্রদলের স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে এক ভোটারকে ডাকসু নির্বাচনে “আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ”-এর প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতে শোনা যায়। তিনি বিশেষভাবে জিএস পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমকে ‘খুলনার ছেলে’ এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলালের ভাতিজা হিসেবে পরিচয় করিয়ে সমর্থন চেয়েছিলেন।

    এরপর সুজন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হামিমের পক্ষে একাধিক নির্বাচনী পোস্ট শেয়ার করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বিষয়টিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করে। ইমতিয়াজ আলী সুজন রূপসা সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়ভাবে উত্তর রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে তাকে বহিষ্কার করা শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়—এটি ছাত্রদলের ভেতরে শৃঙ্খলা রক্ষার একটি বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও ছাত্রদল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী বা প্যানেল ঘোষণা করেনি, তবুও অনেক নেতাকর্মী গোপনে ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সুজনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে কার্যত একটি সিগন্যাল দিয়েছে যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যক্তিগতভাবে প্রচারণা চালালে শাস্তি অনিবার্য।

    ছাত্রদলের এ বহিষ্কার কেবল একটি সাংগঠনিক পদক্ষেপ নয়; বরং এটি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সতর্কবার্তা। বিশেষ করে ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হলে ছাত্রদলের ভেতরে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।