ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    তীব্র বিক্ষোভে নেপালে মন্ত্রীদের বাসভবন জ্বালিয়ে দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০৬:২১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    নেপালে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করায় সরকারি বাসভবনগুলো থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে মন্ত্রীদের বাসভবন থেকে সরিয়ে আনা হয় বলে জানিয়েছে দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট। জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদ ভবন রক্ষায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য সামরিক ব্যারাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

    এর আগে রাজধানী কাঠমান্ডুর ভৈসেপাটি এলাকায় মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবনের সামনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। মঙ্গলবার কাঠমান্ডু উপত্যকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় জেনারেশন জেড (জেন-জি) বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

    ললিতপুরে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী প্রিথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভৈসেপাটিতে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলের বাসভবনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া সোমবার পদত্যাগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।

    বিক্ষোভকারীরা বিরোধী দলীয় নেতা এবং সিপিএন চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহালের বাড়িতেও পাথর নিক্ষেপ করেছে। দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট-এর স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলেও বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী, প্রাদেশিক মন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে।

    সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সহিংস এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং কয়েক’শ মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও জনমতের চাপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নেপাল সরকার। এদিকে বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীর বল প্রয়োগের ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    তীব্র বিক্ষোভে নেপালে মন্ত্রীদের বাসভবন জ্বালিয়ে দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা

    আপডেট সময় ০৬:২১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নেপালে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করায় সরকারি বাসভবনগুলো থেকে মন্ত্রীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে মন্ত্রীদের বাসভবন থেকে সরিয়ে আনা হয় বলে জানিয়েছে দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট। জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদ ভবন রক্ষায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য সামরিক ব্যারাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

    এর আগে রাজধানী কাঠমান্ডুর ভৈসেপাটি এলাকায় মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবনের সামনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। মঙ্গলবার কাঠমান্ডু উপত্যকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় জেনারেশন জেড (জেন-জি) বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

    ললিতপুরে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী প্রিথ্বী সুব্বা গুরুংয়ের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভৈসেপাটিতে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলের বাসভবনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া সোমবার পদত্যাগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।

    বিক্ষোভকারীরা বিরোধী দলীয় নেতা এবং সিপিএন চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহালের বাড়িতেও পাথর নিক্ষেপ করেছে। দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট-এর স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলেও বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী, প্রাদেশিক মন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে।

    সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সহিংস এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং কয়েক’শ মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও জনমতের চাপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নেপাল সরকার। এদিকে বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীর বল প্রয়োগের ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক।