ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

    থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সংঘাত: যুদ্ধবিরতির পথে দুই দেশ, মধ্যস্থতায় ট্রাম্প

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সীমান্তে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে দুই দেশের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (২৬ জুলাই) স্কটল্যান্ডে নিজের ব্যক্তিগত গলফ রিসোর্ট সফরের শুরুতে তিনি এই ঘোষণা দেন।

    ট্রাম্প জানান, দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে এবং উভয় পক্ষই দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি এবং শেষ পর্যন্ত স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে দ্রুত আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।”

    থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা কাম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চাই।” সীমান্তে কয়েকদিন ধরে চলা গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

    আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মুখে ট্রাম্প বলেন, এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে তিনি উল্লেখ করেন, “যখন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন আমি উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।”

    ট্রাম্প জানান, তিনি কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথামের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং উভয়েই শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

    কাম্বোডিয়া নিজ উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে, যা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পথ প্রশস্ত করেছে। এদিকে সীমান্ত অঞ্চলে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপ দুই দেশকে যুদ্ধবিরতির পথে ঠেলে দিচ্ছে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। এখন সবার নজর দ্রুত শুরু হতে যাওয়া শান্তি আলোচনার দিকে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সংঘাত: যুদ্ধবিরতির পথে দুই দেশ, মধ্যস্থতায় ট্রাম্প

    আপডেট সময় ১২:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

    থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সীমান্তে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে দুই দেশের নেতারা দ্রুত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (২৬ জুলাই) স্কটল্যান্ডে নিজের ব্যক্তিগত গলফ রিসোর্ট সফরের শুরুতে তিনি এই ঘোষণা দেন।

    ট্রাম্প জানান, দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে এবং উভয় পক্ষই দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি এবং শেষ পর্যন্ত স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে দ্রুত আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।”

    থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা কাম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চাই।” সীমান্তে কয়েকদিন ধরে চলা গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

    আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মুখে ট্রাম্প বলেন, এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে তিনি উল্লেখ করেন, “যখন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন আমি উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।”

    ট্রাম্প জানান, তিনি কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথামের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং উভয়েই শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।

    কাম্বোডিয়া নিজ উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে, যা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পথ প্রশস্ত করেছে। এদিকে সীমান্ত অঞ্চলে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপ দুই দেশকে যুদ্ধবিরতির পথে ঠেলে দিচ্ছে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। এখন সবার নজর দ্রুত শুরু হতে যাওয়া শান্তি আলোচনার দিকে।