নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলেন ইলন মাস্ক, ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য ট্রাম্পের

- আপডেট সময় ১১:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
- / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’। দলটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত দুই প্রধান দল—রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এর বাইরে একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সোমবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
মাস্কের নতুন দল গঠনের ঘোষণার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তাই হাস্যকর। যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে দুই-দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো বিদ্যমান। নতুন কোনো দল আনার চেষ্টা শুধু বিভ্রান্তি তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, মাস্কের এই পদক্ষেপ উদ্ধত ও বোকামিপূর্ণ।
ট্রাম্প ও মাস্ক একসময় রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্ককে “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি” (ডিওজিই)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল সরকারি ব্যয় হ্রাস করা। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাজেট পরিকল্পনা ও নীতিমালা নিয়ে মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা শুরু করেন, যা তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের সূচনা করে।
রোববার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন: দুঃখজনকভাবে, ইলন মাস্ক এখন রেললাইনচ্যুত একটি ট্রেন দুর্ঘটনার মতো—পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। ট্রাম্প মাস্কের বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বাধ্যতামূলক নীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মাস্কের পরিকল্পনা অনুযায়ী, জনগণকে দ্রুত ইভি কিনতে বাধ্য করা হতো, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক বাজার কাঠামোর পরিপন্থী।
সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নতুন কর ও ব্যয় পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর করছাড় বাতিল করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: আমি শুরু থেকেই মাস্কের ইভি বাধ্যতামূলক করার ধারণার বিরোধিতা করে এসেছি। আমাদের নতুন আইনে মানুষ চাইলে গ্যাসচালিত, হাইব্রিড বা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি-নির্ভর গাড়িও কিনতে পারবেন—ইভি বাধ্যতামূলক নয়। ইলন মাস্কের নতুন দল ‘আমেরিকা পার্টি’ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী মাঠে নামেনি, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তুলেছে। দুই প্রধান দলের বাইরে বিকল্প একটি শক্তি গঠনের এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।