পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ৩৫০ জনের প্রাণহানি

- আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ, যেখানে অন্তত ৩২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বন্যা ও ভূমিধসের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, সোয়াত, মানসেহরা, বাজাউর এবং বাটাগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও অবকাঠামো ধসে পড়েছে। শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া নয়, গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ কাশ্মীরে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাদেশিক উদ্ধার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২ হাজার উদ্ধারকর্মী নয়টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে ব্যস্ত রয়েছেন। বিশেষ করে বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে দাফন ও জানাজায় মানুষ পাওয়া যাচ্ছিল না। পাশের গ্রামের বাসিন্দারা এগিয়ে এসে সহযোগিতা করেছেন। গ্রামটির প্রায় প্রতিটি পরিবারই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বুনের, সোয়াত, বাজাউর, তোরঘর, মানসেহরা, শাংলা ও বাটগ্রামে। কেবল বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামেই হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় উদ্ধার তৎপরতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে আহত ও নিহতদের চাপ সামলাতে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রাদেশিক সরকার জরুরি সহায়তা হিসেবে ইতোমধ্যেই ৫০ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু বুনের জেলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫ কোটি রুপি। দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় সরকারি সহায়তা এখনো পর্যাপ্ত নয়।