বাংলাদেশের শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণার পর ভারতে বেড়েছে চালের দাম

- আপডেট সময় ০৫:৪১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ৫ লাখ টন শুল্কমুক্ত চাল আমদানি করবে, এমন ঘোষণার পর গত দুই দিনে ভারতে চালের দাম ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে চাল রপ্তানিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও দক্ষিণ ভারতের ব্যবসায়ীরা আগেই জানতে পেরেছিলেন যে বাংলাদেশ সরকার চালের ওপর থেকে ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক সাময়িকভাবে তুলে নেবে। তাই তারা আগে থেকেই পেট্রাপোল সীমান্তের গুদামগুলোতে পণ্য প্রস্তুত রেখেছিলেন। বুধবার বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই ভারত থেকে চালের ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণার পর ভারতের বাজারে চালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে স্বর্ণা চালের দাম প্রতি কেজি ৩৪ রুপি থেকে বেড়ে ৩৯ রুপি হয়েছে। একইভাবে, মিনিকেট ৪৯ থেকে ৫৫ রুপি, রত্না ৩৬-৩৭ থেকে ৪১-৪২ রুপি এবং সোনা মসুরি ৫২ থেকে ৫৬ রুপি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের রাইসভিলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুরজ আগরওয়াল জানান, খরচ ও পরিবহন উভয় দিক বিবেচনায় পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে চাল রপ্তানি করা সুবিধাজনক হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ ও দক্ষিণ ভারতের চালকল মালিকরাও এই স্থলপথ ব্যবহার করছেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং মূল্যস্ফীতি থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে চাল আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে চালের দাম ১৬ শতাংশ বেড়েছিল। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ওই অর্থবছরে ১৩ লাখ টন চাল আমদানি করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হালদার ভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেশব কুমার হালদার বলেন, বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ ভালো থাকায় বৈশ্বিক দাম কমেছে। বাংলাদেশের এই রপ্তানি অর্ডার ভারতের বাজারে চাহিদা তৈরি করে বৈশ্বিক দামের পতন কিছুটা সামাল দিতে সাহায্য করবে।