ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
    ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে বন্ধ আকাশপথ

    বিপর্যস্ত বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল!

    ঢাকা প্রেস ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০৪:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
    • / ২৮১ বার পড়া হয়েছে

    মাঝ আকাশে তৈরি হল অচলাবস্থা! ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক দেশের আকাশসীমা—তাতেই থমকে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ইরানে ইজরায়েলের বিমানহানার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইরান নিজের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।

    সেই সঙ্গে প্রতিবেশী ইরাক ও জর্ডনও বন্ধ করেছে তাদের আকাশপথ। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ এয়ার করিডর এখন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ।

    বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত করিডরগুলোর একটি হল ইরাক সীমান্তসংলগ্ন পূর্বাঞ্চল। এই রুট দিয়ে এশিয়ার দেশগুলো থেকে ইউরোপে যাওয়া প্রতিদিন হাজারো ফ্লাইট।

    এখন সেই পথ বন্ধ হওয়ায় বিমানের গন্তব্য পৌঁছাতে হচ্ছে বিকল্প দীর্ঘ রুটে। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে উড়ান সময়, খরচ হচ্ছে বেশি জ্বালানি—বাড়ছে বিপদের আশঙ্কাও।

    ইজরায়েলের তেল আভিভের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বন্ধ ফ্লাইট ওঠানামা। দেশটির বড় দুটি এয়ারলাইন্স এল আল ও ইসরেয়ার সব বিমান সরিয়ে নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত এক সপ্তাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর।

    এদিকে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলিও একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। জার্মানির লুফৎহানসা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস, এমনকি ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া—সবাই পরিবর্তন করছে যাত্রাপথ।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকল্প হিসেবে বিমানগুলোকে যেতে হচ্ছে সৌদি আরব ও মিশর ঘুরে, অথবা তুরস্ক, আজারবাইজান ও তুর্কমেনিস্তান হয়ে। তবে যেকোনো পথেই খরচ এবং সময়—দুটোই বাড়ছে বহুগুণে।

    ট্যাগস :

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে বন্ধ আকাশপথ

    বিপর্যস্ত বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল!

    আপডেট সময় ০৪:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

    মাঝ আকাশে তৈরি হল অচলাবস্থা! ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক দেশের আকাশসীমা—তাতেই থমকে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ইরানে ইজরায়েলের বিমানহানার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইরান নিজের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।

    সেই সঙ্গে প্রতিবেশী ইরাক ও জর্ডনও বন্ধ করেছে তাদের আকাশপথ। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ এয়ার করিডর এখন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ।

    বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত করিডরগুলোর একটি হল ইরাক সীমান্তসংলগ্ন পূর্বাঞ্চল। এই রুট দিয়ে এশিয়ার দেশগুলো থেকে ইউরোপে যাওয়া প্রতিদিন হাজারো ফ্লাইট।

    এখন সেই পথ বন্ধ হওয়ায় বিমানের গন্তব্য পৌঁছাতে হচ্ছে বিকল্প দীর্ঘ রুটে। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে উড়ান সময়, খরচ হচ্ছে বেশি জ্বালানি—বাড়ছে বিপদের আশঙ্কাও।

    ইজরায়েলের তেল আভিভের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বন্ধ ফ্লাইট ওঠানামা। দেশটির বড় দুটি এয়ারলাইন্স এল আল ও ইসরেয়ার সব বিমান সরিয়ে নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত এক সপ্তাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর।

    এদিকে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলিও একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। জার্মানির লুফৎহানসা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস, এমনকি ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া—সবাই পরিবর্তন করছে যাত্রাপথ।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকল্প হিসেবে বিমানগুলোকে যেতে হচ্ছে সৌদি আরব ও মিশর ঘুরে, অথবা তুরস্ক, আজারবাইজান ও তুর্কমেনিস্তান হয়ে। তবে যেকোনো পথেই খরচ এবং সময়—দুটোই বাড়ছে বহুগুণে।