ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখনো ‘বেশ ইতিবাচক’ সম্পর্ক বিদ্যমান-মোদি

- আপডেট সময় ০৬:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্কের বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখনো ‘বেশ ইতিবাচক’ সম্পর্ক বিদ্যমান।
মোদি পোস্টে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যে আবেগ ও ইতিবাচক মূল্যায়ন প্রকাশ করেছেন, তা তিনি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করছেন এবং একইভাবে ট্রাম্পকে তা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর মতে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে একটি খুবই ইতিবাচক ও ভবিষ্যৎমুখী সর্বাত্মক বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারত্ব বিদ্যমান।
মোদি এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন, যখন ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। পাশাপাশি অভিযোগ তুলেছে, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে ইউক্রেনে প্রাণঘাতী হামলায় মস্কোকে সহায়তা করছে নয়াদিল্লি।
এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সামনে এনেছেন মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের বিষয়টি। জনতুষ্টবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর প্রথম মেয়াদ থেকেই। এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সব সময় মোদির বন্ধু থাকবেন। যদিও একসময় চীনের কাছে ভারতকে হাতছাড়া করার সমালোচনা করেছিলেন তিনি, পরে সুর নরম করে বলেন, “ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক আছে। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।”
তবে ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়েও আলোচনার ঝড় উঠেছে। গত সপ্তাহে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে চীন সফরে যান নরেন্দ্র মোদি। সাত বছর পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম চীন সফর, যা দুই এশীয় শক্তির মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা উষ্ণতা ফেরার ইঙ্গিত দেয়। তবে মোদির এ সফরে ট্রাম্পের অস্বস্তি বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব নিতে আগ্রহী ট্রাম্প এটিকে তাঁর একধরনের কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে উপস্থাপন করছেন। গত মে মাসে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তিনি নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরতে চান। তাঁর দাবি, এটি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার মতো উদ্যোগ।
তবে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত এখনো দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা তারা মেনে নেবে না। এই অবস্থান ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে।