ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য নিয়ে ট্রাম্প উপদেষ্টা নাভারোর কড়া সমালোচনা

    ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০৪:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠককে নাভারো ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

    নাভারো বলেন, “মোদিকে শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা সত্যিই লজ্জার। আমি বুঝতে পারছি না তিনি কী ভাবছেন। আমরা আশা করি, তিনি বুঝবেন যে তাঁকে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে, রাশিয়ার সঙ্গে নয়।” তাঁর এই মন্তব্য আসে এসসিও সম্মেলনে মোদির উপস্থিতি ও বৈঠকের একদিন পর।

    ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে গিয়ে নাভারো আরও বলেন, মোদির দেশ হলো ‘শুল্কের মহারাজা’। তাঁর দাবি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ভারতের শুল্কহার সবচেয়ে বেশি, অথচ নয়াদিল্লি তা স্বীকার করতেও রাজি নয়। নাভারো অভিযোগ করেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সমস্যা দুই দিক থেকে—২৫ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক অন্যায্য বাণিজ্যের কারণে, আর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে কারণ ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে।

    শুধু তাই নয়, নাভারো ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট’ হিসেবেও অভিহিত করেন। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনে সেটি প্রক্রিয়াজাত করে প্রিমিয়াম দামে রপ্তানি করছে।

    নাভারো আরও দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের রপ্তানির ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ ন্যায্য পদক্ষেপ। তাঁর মতে, নয়াদিল্লির রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করছে।

    তবে ভারতের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, রাশিয়া থেকে তেল কেনা সম্পূর্ণ বৈধ এবং তা দেশের জ্বালানি ব্যয় কমাতে ও অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে জরুরি। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ও পদক্ষেপকে ‘অন্যায্য’ আখ্যা দিয়েছে। ট্রাম্প যাকে ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ বলে বর্ণনা করেছেন, তার একমাত্র ভুক্তভোগী এখন পর্যন্ত ভারত হলেও, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা চীন এ বিষয়ে তুলনামূলকভাবে শাস্তির বাইরে রয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য নিয়ে ট্রাম্প উপদেষ্টা নাভারোর কড়া সমালোচনা

    আপডেট সময় ০৪:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠককে নাভারো ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

    নাভারো বলেন, “মোদিকে শি জিনপিং ও পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা সত্যিই লজ্জার। আমি বুঝতে পারছি না তিনি কী ভাবছেন। আমরা আশা করি, তিনি বুঝবেন যে তাঁকে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে, রাশিয়ার সঙ্গে নয়।” তাঁর এই মন্তব্য আসে এসসিও সম্মেলনে মোদির উপস্থিতি ও বৈঠকের একদিন পর।

    ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে গিয়ে নাভারো আরও বলেন, মোদির দেশ হলো ‘শুল্কের মহারাজা’। তাঁর দাবি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ভারতের শুল্কহার সবচেয়ে বেশি, অথচ নয়াদিল্লি তা স্বীকার করতেও রাজি নয়। নাভারো অভিযোগ করেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সমস্যা দুই দিক থেকে—২৫ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক অন্যায্য বাণিজ্যের কারণে, আর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে কারণ ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছে।

    শুধু তাই নয়, নাভারো ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট’ হিসেবেও অভিহিত করেন। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনে সেটি প্রক্রিয়াজাত করে প্রিমিয়াম দামে রপ্তানি করছে।

    নাভারো আরও দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের রপ্তানির ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ ন্যায্য পদক্ষেপ। তাঁর মতে, নয়াদিল্লির রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করছে।

    তবে ভারতের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, রাশিয়া থেকে তেল কেনা সম্পূর্ণ বৈধ এবং তা দেশের জ্বালানি ব্যয় কমাতে ও অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে জরুরি। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ও পদক্ষেপকে ‘অন্যায্য’ আখ্যা দিয়েছে। ট্রাম্প যাকে ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ বলে বর্ণনা করেছেন, তার একমাত্র ভুক্তভোগী এখন পর্যন্ত ভারত হলেও, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা চীন এ বিষয়ে তুলনামূলকভাবে শাস্তির বাইরে রয়েছে।