ভিসা সুবিধা ও বিনিয়োগসহ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার

- আপডেট সময় ১২:২০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের রূপান্তরকালে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মন্তব্য করে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন, যা বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এই কথা বলেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রফেসর ইউনূস মালয়েশিয়ায় একজন পরিচিত ব্যক্তি, যিনি দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বিশেষভাবে মাইক্রোক্রেডিট প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং কেদাহ প্রদেশের আলবুখারী আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা খাতে তার অবদান প্রশংসনীয়।”
আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ তার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করা হয়েছে, যাতে তারা সহজে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কিছু প্রস্তাব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছে, বিশেষত যেসব শ্রমিক বিদেশে আটকে পড়েছেন তাদের সহায়তার জন্য।
মালয়েশিয়ার পেট্রোলিয়াম কোম্পানি পেট্রোনাস ও টেলিকম খাতে অ্যাক্সিয়াটার সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশ এখন হালাল শিল্প, শিক্ষা, গবেষণা এবং সেমিকন্ডাক্টর খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আঞ্চলিক ইস্যুতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভার বহন করছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।” তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের যৌথ প্রতিনিধি দল শিগগিরই মিয়ানমার সফর করবে—শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অবসানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে।
বিবৃতির শেষে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “আমার পরিবার এবং মালয়েশিয়ার জনগণের পক্ষ থেকে আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও সফলতা কামনা করি।”