আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক ও তার আশপাশে বসতে চলেছে প্রায় ২১৭টি পশুর হাট। প্রতি বছর এই হাটগুলোর কারণে ঈদযাত্রায় যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

তবে, এবার এই ভোগান্তি কমাতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।

সড়ক ও রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, কোনো পশুর হাট সড়কের ওপর বসানো যাবে না। হাটের প্রবেশপথ তৈরি করতে হবে মহাসড়কের বিপরীত দিকে।

পাশাপাশি, প্রতিটি হাটের জন্য কোথায় কতটুকু জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, তার বিস্তারিত ম্যাপ ও স্কেচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর ঈদে সরকারি ছুটি শুরু হবে ৪ জুন থেকে এবং ঈদের অন্তত তিন দিন আগেই সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে।

দীর্ঘ ছুটির কারণে গত ঈদুল ফিতরের যাত্রা তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক হলেও, এবার কোরবানির ঈদ বর্ষার শুরুতে হওয়ায় টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

সড়ক ও মহাসড়কে ১৪৯টি যানজটপ্রবণ স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৯টি, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫৪টি, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬টি, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪২টি এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে ৮টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং পশু পরিবহনকারী গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে হানিফ ফ্লাইওভারে যানজট নিরসনে টোল আদায় প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাজ করছে।

গত বছর ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখা, কারখানায় ধাপে ধাপে ছুটিসহ ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোরবানির হাটে পশু নামানো ও বিক্রি করা পশু গাড়িতে ওঠানোর জন্য হাটের ভেতরেই আলাদা জায়গা রাখতে হবে। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে এই কাজগুলো হাট থেকে দূরে সম্পন্ন করতে হবে।