ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

    মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা – অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:১৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের মামলার অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে র‍্যাব-১১ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

    গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কিছু যুবক সোহাগকে দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যার দিকে তারা তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। ইট ও পাথরের টুকরো দিয়ে তার মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে, এমনকি কেউ কেউ তার শরীরের ওপর লাফায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    নিহত সোহাগ পেশায় একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি পুরনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ বিভিন্ন ভাঙারি সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি এক সময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা—১৪ বছর বয়সি মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সি ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে।

    ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
    পুলিশ জানিয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা – অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

    আপডেট সময় ১১:১৯:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

    পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের মামলার অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে র‍্যাব-১১ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

    গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কিছু যুবক সোহাগকে দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যার দিকে তারা তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। ইট ও পাথরের টুকরো দিয়ে তার মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে, এমনকি কেউ কেউ তার শরীরের ওপর লাফায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    নিহত সোহাগ পেশায় একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি পুরনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ বিভিন্ন ভাঙারি সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি এক সময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা—১৪ বছর বয়সি মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সি ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে।

    ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
    পুলিশ জানিয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।