ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

    হঠাৎ করেই কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেওয়া হচ্ছে-মোস্তফা ফিরোজ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, ফজলুর রহমান তো ফজলুর রহমানই। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে অনেক কথা বলছেন, যা নিঃসন্দেহে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। তবে এসব একজন স্বাধীন ও মুক্তমনা মানুষই বলতে পারেন। যদিও বর্তমান স্পর্শকাতর সময়ে বিএনপির জন্য তাঁর এমন বক্তব্যগুলো প্রাসঙ্গিক নাও হতে পারে। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ফজলুর রহমান অনর্গল কথা বলেছেন। তবে প্রশ্ন হলো, তিনি কি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্বীকার করেন না, কিংবা তা চাননি? যদি তিনি তা না-ও চেয়ে থাকেন, তবুও গত ১৫ বছরে তাঁর অসংখ্য বক্তব্য আমরা শুনেছি, প্রচার করেছি এবং মিডিয়ায় দেখেছি। তিনি কখনোই পালিয়ে যাননি, বরং সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাহলে সেসব বক্তব্যের অর্থ কী দাঁড়ায়?

    তিনি বলেন, ফজলুর রহমানের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি তাকে শোকজ করেছে। তাঁর বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বা সারজিস আলমদের রেফারেন্সে বলা হয়েছে যে, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে জামায়াত-শিবির জড়িত ছিল এবং সেই জামায়াত-শিবিরকে তিনি কালো শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর মানে এই নয় যে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করেছেন বা তার বিরোধিতা করেছেন। যদি তাই হতো, তাহলে গত ১৫ বছরে তাঁর বক্তব্যগুলো আমরা কীভাবে প্রচার করেছি? সেটি ভেবে দেখা দরকার।

    ফিরোজ বলেন, ফজলুর রহমানের একটি বক্তব্য থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা আসতে পারে। বিএনপি বলেছে এটি উদ্দেশ্যমূলক, তাই শোকজ করা হয়েছে—এটা দলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু হঠাৎ করে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কুশপুত্তলিকা দাহ, বিক্ষোভ—এসব দিয়ে কি বিএনপিকে সাইজ করা হচ্ছে, নাকি ফজলুর রহমানকেই সাইজ করা হচ্ছে, সেটিই এখন পরিষ্কার নয়।

    তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করেই কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কারো মতের সঙ্গে মিলছে না, কিংবা তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো অংশকে সমর্থন করলেন—তাহলেই তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলা হচ্ছে। অথচ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতাই তো রাজনৈতিক পরিবর্তনের অন্যতম লক্ষ্য। গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে এই বিষয়গুলো প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    হঠাৎ করেই কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেওয়া হচ্ছে-মোস্তফা ফিরোজ

    আপডেট সময় ০২:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

    সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, ফজলুর রহমান তো ফজলুর রহমানই। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে অনেক কথা বলছেন, যা নিঃসন্দেহে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। তবে এসব একজন স্বাধীন ও মুক্তমনা মানুষই বলতে পারেন। যদিও বর্তমান স্পর্শকাতর সময়ে বিএনপির জন্য তাঁর এমন বক্তব্যগুলো প্রাসঙ্গিক নাও হতে পারে। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ফজলুর রহমান অনর্গল কথা বলেছেন। তবে প্রশ্ন হলো, তিনি কি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্বীকার করেন না, কিংবা তা চাননি? যদি তিনি তা না-ও চেয়ে থাকেন, তবুও গত ১৫ বছরে তাঁর অসংখ্য বক্তব্য আমরা শুনেছি, প্রচার করেছি এবং মিডিয়ায় দেখেছি। তিনি কখনোই পালিয়ে যাননি, বরং সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাহলে সেসব বক্তব্যের অর্থ কী দাঁড়ায়?

    তিনি বলেন, ফজলুর রহমানের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি তাকে শোকজ করেছে। তাঁর বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বা সারজিস আলমদের রেফারেন্সে বলা হয়েছে যে, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে জামায়াত-শিবির জড়িত ছিল এবং সেই জামায়াত-শিবিরকে তিনি কালো শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর মানে এই নয় যে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করেছেন বা তার বিরোধিতা করেছেন। যদি তাই হতো, তাহলে গত ১৫ বছরে তাঁর বক্তব্যগুলো আমরা কীভাবে প্রচার করেছি? সেটি ভেবে দেখা দরকার।

    ফিরোজ বলেন, ফজলুর রহমানের একটি বক্তব্য থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা আসতে পারে। বিএনপি বলেছে এটি উদ্দেশ্যমূলক, তাই শোকজ করা হয়েছে—এটা দলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু হঠাৎ করে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কুশপুত্তলিকা দাহ, বিক্ষোভ—এসব দিয়ে কি বিএনপিকে সাইজ করা হচ্ছে, নাকি ফজলুর রহমানকেই সাইজ করা হচ্ছে, সেটিই এখন পরিষ্কার নয়।

    তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করেই কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। কারো মতের সঙ্গে মিলছে না, কিংবা তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো অংশকে সমর্থন করলেন—তাহলেই তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলা হচ্ছে। অথচ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতাই তো রাজনৈতিক পরিবর্তনের অন্যতম লক্ষ্য। গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে এই বিষয়গুলো প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।