ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

    রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজির পাঁচ যাত্রী নিহত, স্থানীয়দের বিক্ষোভ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:৪৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

    কক্সবাজারের রামুতে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে রামুর বাইপাস সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

    রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে এবং চালক শাহাব উদ্দিন, নারী যাত্রী মর্জিনা ও তার শিশুসন্তান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত অন্য দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের শনাক্তে কাজ চলছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রামুর রশিদনগর থেকে ভারুয়াখালী যাওয়ার পথে সিএনজিটি রেললাইন অতিক্রম করছিল। ঠিক তখনই একটি পর্যটকবাহী এক্সপ্রেস ট্রেন এসে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর অটোরিকশাটিকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি।

    খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন আটকিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা দাবি করেন, ওই রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান ছিল না এবং নিরাপত্তাব্যবস্থাও ছিল না। স্থানীয়দের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হোক এবং দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।

    রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজির পাঁচ যাত্রী নিহত, স্থানীয়দের বিক্ষোভ

    আপডেট সময় ০৬:৪৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

    কক্সবাজারের রামুতে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে রামুর বাইপাস সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

    রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে এবং চালক শাহাব উদ্দিন, নারী যাত্রী মর্জিনা ও তার শিশুসন্তান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত অন্য দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের শনাক্তে কাজ চলছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রামুর রশিদনগর থেকে ভারুয়াখালী যাওয়ার পথে সিএনজিটি রেললাইন অতিক্রম করছিল। ঠিক তখনই একটি পর্যটকবাহী এক্সপ্রেস ট্রেন এসে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর অটোরিকশাটিকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি।

    খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন আটকিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা দাবি করেন, ওই রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান ছিল না এবং নিরাপত্তাব্যবস্থাও ছিল না। স্থানীয়দের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হোক এবং দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।

    রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।