ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ আবেদনের আদেশ পেছাল, শুনানি ৭ আগস্ট

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের ওপর আদেশের দিন পেছাল। আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।

    এর আগে ৩০ জুলাই রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয় এবং ৬ আগস্ট আদেশের দিন নির্ধারিত ছিল। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্নির্ধারণ চেয়ে ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদনের শুনানির আবেদন করেন বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে শুনানির সময় আবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর। পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলরাও নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে আবেদন দাখিল করেন। রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয় ২৭ এপ্রিল।
    আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায়ে যা বলা হয়েছিল

    ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নির্ধারণ করে আপিল বিভাগ রায় দেন, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। এতে উল্লেখ করা হয়:
    • সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুযায়ী শীর্ষে রাখতে হবে।
    • জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকদের অবস্থান ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত করে ১৬ নম্বরে আনা হবে, যেটি সচিবদের সমমর্যাদা।
    • অতিরিক্ত জেলা জজদের অবস্থান হবে তাদের ঠিক পরেই, অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ক্রমে ১৭ নম্বরে।
    রায়ে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল প্রটোকল ও আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে; এটি নীতিনির্ধারণী বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে না।

    মামলার পটভূমি
    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের বিষয়ে ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন করে সরকার, যা ২০০০ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধিত ওই নথির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন এবং সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আটটি নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্তমানে সেই রায়ের ভিত্তিতেই রিভিউ আবেদন ও আদেশ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ আবেদনের আদেশ পেছাল, শুনানি ৭ আগস্ট

    আপডেট সময় ১২:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের ওপর আদেশের দিন পেছাল। আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।

    এর আগে ৩০ জুলাই রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয় এবং ৬ আগস্ট আদেশের দিন নির্ধারিত ছিল। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম পুনর্নির্ধারণ চেয়ে ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদনের শুনানির আবেদন করেন বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে শুনানির সময় আবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর। পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলরাও নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে আবেদন দাখিল করেন। রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয় ২৭ এপ্রিল।
    আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায়ে যা বলা হয়েছিল

    ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নির্ধারণ করে আপিল বিভাগ রায় দেন, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। এতে উল্লেখ করা হয়:
    • সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুযায়ী শীর্ষে রাখতে হবে।
    • জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকদের অবস্থান ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত করে ১৬ নম্বরে আনা হবে, যেটি সচিবদের সমমর্যাদা।
    • অতিরিক্ত জেলা জজদের অবস্থান হবে তাদের ঠিক পরেই, অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ক্রমে ১৭ নম্বরে।
    রায়ে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল প্রটোকল ও আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে; এটি নীতিনির্ধারণী বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে না।

    মামলার পটভূমি
    রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের বিষয়ে ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন করে সরকার, যা ২০০০ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধিত ওই নথির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন এবং সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আটটি নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্তমানে সেই রায়ের ভিত্তিতেই রিভিউ আবেদন ও আদেশ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।