ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    লাইফ সাপোর্ট থেকে জ্ঞান ফিরেছে সিয়ামের, মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    ছয় দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবশেষে জ্ঞান ফিরেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমদ সিয়ামের। বর্তমানে তিনি হাত-পা নড়াচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন। তবে এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন।

    পার্কভিউ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টায় সিয়ামের চিকিৎসা নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মেডিক্যাল বোর্ড বসে। এতে অংশ নেন নিউরোসার্জন কামাল উদ্দিন, মো. ইসমাইল, মো. মনজুরুল ইসলাম এবং নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ হাসানুজ্জামান। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষামূলকভাবে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এর আগে বুধবারও তাকে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক করেছিল।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিয়ামের চেতনার মাত্রা (কনশাস লেভেল) এতদিন ৫ থেকে ৯-এর মধ্যে ওঠানামা করছিল। বর্তমানে এটি ১০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে স্বাভাবিক মানুষের কনশাস লেভেল থাকে ১৫। ১০-এর ওপরে না ওঠা পর্যন্ত তাকে পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। চিকিৎসাধীন সিয়ামের বাবা আমির হোসেন ও মা শাহনাজ বেগম তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    অন্যদিকে একই সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার অবস্থাও স্থিতিশীল হলেও জটিল। তার মাথার খুলির একটি অংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাথায় ব্যান্ডেজ মোড়ানো অবস্থায় কালো কালিতে লেখা রয়েছে— ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ মামুনকে বর্তমানে কেবিনে রাখা হয়েছে এবং তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলা ছাড়া স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। তার বড় ভাই মাসুদ রানা জানিয়েছেন, মামুন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন ঠিকই, কিন্তু ডাক্তাররা বলেছেন সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।

    পার্কভিউ হাসপাতালের স্পেশালাইজড ইউনিটের ইনচার্জ ডা. সিরাজুল মোস্তফা জানান, সিয়ামের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুলির ভেতরের অংশ ও রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়েছিল। তবে ইতোমধ্যেই তার জ্ঞান ফিরে এসেছে এবং রক্তচাপেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে উপ-উপাচার্য, শিক্ষার্থী ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন। আহতদের মধ্যে সিয়াম ও মামুন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    লাইফ সাপোর্ট থেকে জ্ঞান ফিরেছে সিয়ামের, মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

    আপডেট সময় ০১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ছয় দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবশেষে জ্ঞান ফিরেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমদ সিয়ামের। বর্তমানে তিনি হাত-পা নড়াচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন। তবে এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন।

    পার্কভিউ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টায় সিয়ামের চিকিৎসা নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মেডিক্যাল বোর্ড বসে। এতে অংশ নেন নিউরোসার্জন কামাল উদ্দিন, মো. ইসমাইল, মো. মনজুরুল ইসলাম এবং নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ হাসানুজ্জামান। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষামূলকভাবে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এর আগে বুধবারও তাকে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক করেছিল।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিয়ামের চেতনার মাত্রা (কনশাস লেভেল) এতদিন ৫ থেকে ৯-এর মধ্যে ওঠানামা করছিল। বর্তমানে এটি ১০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে স্বাভাবিক মানুষের কনশাস লেভেল থাকে ১৫। ১০-এর ওপরে না ওঠা পর্যন্ত তাকে পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। চিকিৎসাধীন সিয়ামের বাবা আমির হোসেন ও মা শাহনাজ বেগম তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    অন্যদিকে একই সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার অবস্থাও স্থিতিশীল হলেও জটিল। তার মাথার খুলির একটি অংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মাথায় ব্যান্ডেজ মোড়ানো অবস্থায় কালো কালিতে লেখা রয়েছে— ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ মামুনকে বর্তমানে কেবিনে রাখা হয়েছে এবং তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলা ছাড়া স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে। তার বড় ভাই মাসুদ রানা জানিয়েছেন, মামুন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন ঠিকই, কিন্তু ডাক্তাররা বলেছেন সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।

    পার্কভিউ হাসপাতালের স্পেশালাইজড ইউনিটের ইনচার্জ ডা. সিরাজুল মোস্তফা জানান, সিয়ামের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুলির ভেতরের অংশ ও রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়েছিল। তবে ইতোমধ্যেই তার জ্ঞান ফিরে এসেছে এবং রক্তচাপেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে উপ-উপাচার্য, শিক্ষার্থী ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন। আহতদের মধ্যে সিয়াম ও মামুন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।