ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

    শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
    • / ২৭১ বার পড়া হয়েছে

    জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী সোমবার (৮ জুলাই) আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল এ আদেশ দেন। শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন এবং চৌধুরী মামুনের পক্ষে আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে, গত ১ জুন ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় এবং শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ১৬ জুন ট্রাইব্যুনাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসামিদের এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। ১৭ জুন আনুষ্ঠানিক নোটিশও জারি হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও তারা হাজির হননি, ফলে ট্রাইব্যুনাল তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়।

    মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী ) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানিতে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলোর শুনানিও সম্পন্ন হয়।
    এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত সংস্থা গত ১২ মে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শেষ করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

    ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে প্রায় দেড় হাজার নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়। এই ঘটনার নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

    আপডেট সময় ০২:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

    জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী সোমবার (৮ জুলাই) আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল এ আদেশ দেন। শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন এবং চৌধুরী মামুনের পক্ষে আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে, গত ১ জুন ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় এবং শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ১৬ জুন ট্রাইব্যুনাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসামিদের এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। ১৭ জুন আনুষ্ঠানিক নোটিশও জারি হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও তারা হাজির হননি, ফলে ট্রাইব্যুনাল তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়।

    মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী ) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানিতে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলোর শুনানিও সম্পন্ন হয়।
    এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত সংস্থা গত ১২ মে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তদন্ত শেষ করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

    ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে প্রায় দেড় হাজার নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়। এই ঘটনার নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে।