ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল, বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরল সুপ্রিম কোর্টে

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:৪১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কিছু অংশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত তিন মাসের মধ্যে পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথভাবে ঘোষণা করে এই রায় দেন। আইনজীবীদের মতে, এই রায়ের ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরেছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় স্থাপনে আর কোনো বাধা থাকবে না।

    সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে জারি রুলের রায় ঘোষণা শুরু হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয়েছিল। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, এবং ইন্টারভেনর হিসেবে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

    সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলাটি প্রথমে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে ২৪ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সেই বেঞ্চ ভেঙে যায়। পরে রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির নতুন বেঞ্চ গঠনের আবেদন করেন।

    গত বছরের ২৫ আগস্ট ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চায় বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।

    বর্তমানে প্রযোজ্য সংশোধিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত। তবে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে বলা হয়েছিল, বিচারকর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিরা এবং ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি ও ছুটির ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থাকার কারণে এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল, বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরল সুপ্রিম কোর্টে

    আপডেট সময় ০৩:৪১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কিছু অংশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত তিন মাসের মধ্যে পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল যথাযথভাবে ঘোষণা করে এই রায় দেন। আইনজীবীদের মতে, এই রায়ের ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরেছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় স্থাপনে আর কোনো বাধা থাকবে না।

    সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে জারি রুলের রায় ঘোষণা শুরু হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয়েছিল। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, এবং ইন্টারভেনর হিসেবে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

    সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলাটি প্রথমে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে ২৪ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় সেই বেঞ্চ ভেঙে যায়। পরে রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির নতুন বেঞ্চ গঠনের আবেদন করেন।

    গত বছরের ২৫ আগস্ট ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চায় বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না।

    বর্তমানে প্রযোজ্য সংশোধিত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ, পদোন্নতি, ছুটি ও শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত। তবে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে বলা হয়েছিল, বিচারকর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিরা এবং ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদায়ন, বদলি ও ছুটির ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থাকার কারণে এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।