ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

    সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাত ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। তবে তিনি গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয় জানাননি।

    এই ঘটনায় এর আগে অজ্ঞাতনামা ২ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী সরকারি গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করছে।

    এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ধরনের লুট বা চুরি খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়াও এটি দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারার অপরাধও বটে।

    পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সিলেট থেকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মামলার এজাহারে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাত ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

    আপডেট সময় ১২:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

    সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। তবে তিনি গ্রেপ্তারকৃতদের নাম-পরিচয় জানাননি।

    এই ঘটনায় এর আগে অজ্ঞাতনামা ২ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী সরকারি গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করছে।

    এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই ধরনের লুট বা চুরি খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়াও এটি দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারার অপরাধও বটে।

    পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সিলেট থেকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মামলার এজাহারে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।