ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

    ৯ স্ত্রী, নির্যাতন ও নিরাপত্তা শঙ্কা: মডেল হ্যাপীর যত অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
    • / ৩০০ বার পড়া হয়েছে

    সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

    সাবেক মডেল হ্যাপী, যিনি ২০১৪ সালে জাতীয় দলের একজন সাবেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আলোচনায় ওঠে এসেছিলেন। এবার অভিযোগের তীর ছুড়েছেন তার বর্তমান স্বামী যিনি একজন মুফতি ও ধর্মীয় শিক্ষক।

    সোমবার, হ্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, তালহা ইসলাম এ পর্যন্ত মোট ৯টি বিয়ে করেছেন।

    হ্যাপীর আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রায় সাত বছর আগে প্রয়াত এমপি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহার সঙ্গে হ্যাপীর বিয়ে হয়।

    বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই হ্যাপী জানতে পারেন, তার স্বামীর বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্তি রয়েছে এবং তাদের অনেককেই তিনি কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেছেন।

    হ্যাপী নিজে জানিয়েছেন, তালহার আসল চরিত্র প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে তিনি বহুবার তালাকের কথা বলেছেন।

    কিন্তু প্রতিবারই তালহা তাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন। তালাকের শরীয়তসম্মত অধিকার তার কাছে না থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন হ্যাপী।

    তিনি অভিযোগ করেন, খোলা তালাকের কথা বললে তালহা মোটা অঙ্কের অর্থ, যেমন এক কোটি টাকা অথবা সন্তানকে চিরতরে হারানোর মতো শর্ত চাপিয়ে দেন।

    মামলা দায়েরের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হ্যাপী। তিনি জানান, মামলা করার পরপরই তালহা লোকজন নিয়ে এসে তার প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক মালামাল নিয়ে গেছেন এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। হ্যাপী আরও বলেন, এতদিন মারধরের ভয়ে তিনি চুপ ছিলেন, কিন্তু এখন আর কোনো উপায় না দেখে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন।

    এর আগে, বুধবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে হ্যাপী দাবি করেন, তার কাছে তিনটি বিয়ের কাবিননামা রয়েছে।

    বাকি বিয়েগুলোর কোনো প্রমাণ রাখা হয়নি, যাতে সুযোগ বুঝে মৌখিক তালাক দিয়ে সম্পর্ক শেষ করা যায়। এছাড়াও, তিনি আরও অনেক সম্পর্কের বিষয়ে অন্ধকারে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে, তিনি তালহার কথিত নয়জন স্ত্রীর একটি তালিকাও প্রকাশ করেন।

    এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন পরিচিত মুখ, যিনি একসময় বিনোদন জগতে ছিলেন এবং পরবর্তীতে ধর্মীয় জীবন গ্রহণ করেছিলেন, তার ব্যক্তিগত জীবনে এমন অভিযোগ ওঠায় অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই অভিযোগের তদন্ত করছে ।

     

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ৯ স্ত্রী, নির্যাতন ও নিরাপত্তা শঙ্কা: মডেল হ্যাপীর যত অভিযোগ

    আপডেট সময় ০১:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

    সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

    সাবেক মডেল হ্যাপী, যিনি ২০১৪ সালে জাতীয় দলের একজন সাবেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আলোচনায় ওঠে এসেছিলেন। এবার অভিযোগের তীর ছুড়েছেন তার বর্তমান স্বামী যিনি একজন মুফতি ও ধর্মীয় শিক্ষক।

    সোমবার, হ্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, তালহা ইসলাম এ পর্যন্ত মোট ৯টি বিয়ে করেছেন।

    হ্যাপীর আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রায় সাত বছর আগে প্রয়াত এমপি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহার সঙ্গে হ্যাপীর বিয়ে হয়।

    বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই হ্যাপী জানতে পারেন, তার স্বামীর বিভিন্ন নারীর প্রতি আসক্তি রয়েছে এবং তাদের অনেককেই তিনি কয়েক মাসের জন্য বিয়ে করেছেন।

    হ্যাপী নিজে জানিয়েছেন, তালহার আসল চরিত্র প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে তিনি বহুবার তালাকের কথা বলেছেন।

    কিন্তু প্রতিবারই তালহা তাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন। তালাকের শরীয়তসম্মত অধিকার তার কাছে না থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন হ্যাপী।

    তিনি অভিযোগ করেন, খোলা তালাকের কথা বললে তালহা মোটা অঙ্কের অর্থ, যেমন এক কোটি টাকা অথবা সন্তানকে চিরতরে হারানোর মতো শর্ত চাপিয়ে দেন।

    মামলা দায়েরের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হ্যাপী। তিনি জানান, মামলা করার পরপরই তালহা লোকজন নিয়ে এসে তার প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক মালামাল নিয়ে গেছেন এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। হ্যাপী আরও বলেন, এতদিন মারধরের ভয়ে তিনি চুপ ছিলেন, কিন্তু এখন আর কোনো উপায় না দেখে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন।

    এর আগে, বুধবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে হ্যাপী দাবি করেন, তার কাছে তিনটি বিয়ের কাবিননামা রয়েছে।

    বাকি বিয়েগুলোর কোনো প্রমাণ রাখা হয়নি, যাতে সুযোগ বুঝে মৌখিক তালাক দিয়ে সম্পর্ক শেষ করা যায়। এছাড়াও, তিনি আরও অনেক সম্পর্কের বিষয়ে অন্ধকারে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে, তিনি তালহার কথিত নয়জন স্ত্রীর একটি তালিকাও প্রকাশ করেন।

    এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন পরিচিত মুখ, যিনি একসময় বিনোদন জগতে ছিলেন এবং পরবর্তীতে ধর্মীয় জীবন গ্রহণ করেছিলেন, তার ব্যক্তিগত জীবনে এমন অভিযোগ ওঠায় অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই অভিযোগের তদন্ত করছে ।