ঢাবি আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে-উপাচার্যের ঘোষণা

- আপডেট সময় ১১:৫৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনি এ ঘোষণা দেন।
উপাচার্য জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। এই নীতিমালার অধীনে প্রতিটি হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতির সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন। তারা ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে— কমিটি ঘোষণার কারণ বিষয়ে উপাচার্যের জবাবদিহি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ সকল গুপ্ত কমিটি বিলুপ্তকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এলাকায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন, সব হল কমিটি বাতিল, হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা এবং দ্রুত ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন।
এর আগে শুক্রবার দুপুর থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন হল ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও আবাসিক পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, তবুও নতুন কমিটি ঘোষণায় রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা বিকেল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেলের এ বিক্ষোভ রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও তীব্র হয়। রাত ১২টার পর সবগুলো হল থেকে শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন।
পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে উপাচার্যের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে— ২০২৪ সালের ১৭ জুলাইয়ের ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী গুপ্ত ও প্রকাশ্য হল রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানান, এই আংশিক নিষেধাজ্ঞায় তারা সন্তুষ্ট নন; তাদের দাবি হলো, আবাসিক হলগুলো থেকে ছাত্ররাজনীতির স্থায়ী ও সম্পূর্ণ অবসান।