ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

    পুতিন-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:১৭:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউরোপীয় নেতা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের কাজ শুরু করেছেন।

    এই দুই নেতার বৈঠকের পর একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে তিনি জানান, যেখানে তিনিও উপস্থিত থাকবেন। হোয়াইট হাউসে বৈঠক শেষে ওভাল অফিসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই কথা বলেন। একই কথা তিনি তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালেও লিখেছেন।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনে তিনি কাজ শুরু করেছেন। তবে কোথায় এবং কবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন যে, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজকের বৈঠকগুলোতে মূল আলোচনার বিষয় ছিল ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ দেবে এবং এর সমন্বয় করবে যুক্তরাষ্ট্র।

    হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করেন। একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, এই ফোনালাপ প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে। এরপর আবার বৈঠক শুরু হয়।
    যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বে ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি আমি। এই যুদ্ধ বন্ধ করা হয়তো সহজ হবে ভেবেছিলাম, কিন্তু না। এটা সবচেয়ে কঠিন। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা সমাধান খুঁজে পাব।” তিনি আরও বলেন, “আজকের বৈঠক শেষ নয়। মানুষ মারা যাচ্ছে, আমরা সেটা থামাতে চাই। আমার বিশ্বাস, পুতিনও যুদ্ধ শেষ করতে চান।”

    যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধ শেষ হবে। জেলেনস্কি চান, পুতিনও চান, গোটা বিশ্বই ক্লান্ত। আমরা এটা থামাব। যুদ্ধবিরতি নয়, সরাসরি শান্তিচুক্তিতে যেতে আগ্রহী আমরা। শান্তিচুক্তি হলে পক্ষগুলো আবার শক্তি সঞ্চয় করে। আমি মনে করি, সরাসরি শান্তিচুক্তিই সঠিক পথ।” ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমরা তাদের খুব ভালো সুরক্ষা দেব, খুব ভালো নিরাপত্তা দেব।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই প্রক্রিয়া থেকে কিছু একটা ফল আসবে এবং ইউরোপের সাতজন নেতাও এতে যুক্ত আছেন।

    জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “হত্যাযজ্ঞ থামাতে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে আপনার প্রচেষ্টা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখছি।” বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে উপস্থিত ছিলেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    পুতিন-জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

    আপডেট সময় ১১:১৭:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

    ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউরোপীয় নেতা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের কাজ শুরু করেছেন।

    এই দুই নেতার বৈঠকের পর একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে তিনি জানান, যেখানে তিনিও উপস্থিত থাকবেন। হোয়াইট হাউসে বৈঠক শেষে ওভাল অফিসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এই কথা বলেন। একই কথা তিনি তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালেও লিখেছেন।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনে তিনি কাজ শুরু করেছেন। তবে কোথায় এবং কবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন যে, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজকের বৈঠকগুলোতে মূল আলোচনার বিষয় ছিল ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ দেবে এবং এর সমন্বয় করবে যুক্তরাষ্ট্র।

    হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করেন। একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, এই ফোনালাপ প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে। এরপর আবার বৈঠক শুরু হয়।
    যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বে ছয়টি যুদ্ধ থামিয়েছি আমি। এই যুদ্ধ বন্ধ করা হয়তো সহজ হবে ভেবেছিলাম, কিন্তু না। এটা সবচেয়ে কঠিন। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা সমাধান খুঁজে পাব।” তিনি আরও বলেন, “আজকের বৈঠক শেষ নয়। মানুষ মারা যাচ্ছে, আমরা সেটা থামাতে চাই। আমার বিশ্বাস, পুতিনও যুদ্ধ শেষ করতে চান।”

    যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধ শেষ হবে। জেলেনস্কি চান, পুতিনও চান, গোটা বিশ্বই ক্লান্ত। আমরা এটা থামাব। যুদ্ধবিরতি নয়, সরাসরি শান্তিচুক্তিতে যেতে আগ্রহী আমরা। শান্তিচুক্তি হলে পক্ষগুলো আবার শক্তি সঞ্চয় করে। আমি মনে করি, সরাসরি শান্তিচুক্তিই সঠিক পথ।” ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমরা তাদের খুব ভালো সুরক্ষা দেব, খুব ভালো নিরাপত্তা দেব।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই প্রক্রিয়া থেকে কিছু একটা ফল আসবে এবং ইউরোপের সাতজন নেতাও এতে যুক্ত আছেন।

    জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “হত্যাযজ্ঞ থামাতে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে আপনার প্রচেষ্টা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখছি।” বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে উপস্থিত ছিলেন।