ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ভারতে বিক্ষোভের ঝড়, মোদি সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায়

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৫:২২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

    ভারতজুড়ে হঠাৎ করেই বিভিন্ন রাজ্যে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ শুরু হয়েছে,

    যা রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

    গত বছর বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লব এবং এর আগে শ্রীলঙ্কা ও নেপালে সরকার পতনের ঘটনা ঘটেছে।

    এখন প্রশ্ন উঠছে, সেই পরিবর্তনের ঢেউ কি এবার ভারতের মাটিতেও আছড়ে পড়বে?

    দীর্ঘদিন ধরে ভারতের রাজনীতিতে প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব,

    শিক্ষা খাতে নৈরাজ্য এবং একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে তার সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক ও বাণিজ্য নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন মোদি সরকারের কূটনৈতিক সক্ষমতা নিয়েও সংশয় তৈরি করেছে।

    নেপালে সাধারণ ছাত্র ও তরুণ সমাজের নেতৃত্বে অল্প কয়েক দিনের আন্দোলনেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

    শ্রীলঙ্কাতেও অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে তরুণরা ফুঁসে উঠেছিল।

    এই উদাহরণগুলো সামনে থাকায়, অনেকেই মনে করছেন ভারতেও একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

    বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুতে বিক্ষোভ চলছে।

    বিহারে চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের কারণে বেশ কয়েকটি শহর অচল হয়ে পড়েছিল।

    রেল ও সড়ক অবরোধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়।

    এরপর আসামে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন,

    এই সরকার কেবল প্রতিশ্রুতি দিতে জানে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে না।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিক্ষোভগুলো নিছক কিছু বিচ্ছিন্ন আন্দোলন নয়,

    বরং এটি ধীরে ধীরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশের উদাহরণ থেকে ভারতীয়রাও এখন জানে যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে পরিবর্তন আনা সম্ভব।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ভারতে বিক্ষোভের ঝড়, মোদি সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায়

    আপডেট সময় ০৫:২২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ভারতজুড়ে হঠাৎ করেই বিভিন্ন রাজ্যে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ শুরু হয়েছে,

    যা রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

    গত বছর বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লব এবং এর আগে শ্রীলঙ্কা ও নেপালে সরকার পতনের ঘটনা ঘটেছে।

    এখন প্রশ্ন উঠছে, সেই পরিবর্তনের ঢেউ কি এবার ভারতের মাটিতেও আছড়ে পড়বে?

    দীর্ঘদিন ধরে ভারতের রাজনীতিতে প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব,

    শিক্ষা খাতে নৈরাজ্য এবং একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে তার সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক ও বাণিজ্য নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন মোদি সরকারের কূটনৈতিক সক্ষমতা নিয়েও সংশয় তৈরি করেছে।

    নেপালে সাধারণ ছাত্র ও তরুণ সমাজের নেতৃত্বে অল্প কয়েক দিনের আন্দোলনেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

    শ্রীলঙ্কাতেও অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে তরুণরা ফুঁসে উঠেছিল।

    এই উদাহরণগুলো সামনে থাকায়, অনেকেই মনে করছেন ভারতেও একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

    বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নানা ইস্যুতে বিক্ষোভ চলছে।

    বিহারে চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের কারণে বেশ কয়েকটি শহর অচল হয়ে পড়েছিল।

    রেল ও সড়ক অবরোধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়।

    এরপর আসামে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন,

    এই সরকার কেবল প্রতিশ্রুতি দিতে জানে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে না।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিক্ষোভগুলো নিছক কিছু বিচ্ছিন্ন আন্দোলন নয়,

    বরং এটি ধীরে ধীরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশের উদাহরণ থেকে ভারতীয়রাও এখন জানে যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে পরিবর্তন আনা সম্ভব।