রেজিস্ট্রির বাঁধনে আবদ্ধ হয়েও সংসার সাজাতে পারলেন না মৌমিতা

- আপডেট সময় ০৪:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৭৩ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার।
তবে পরিবারের আশা ছিল একমাত্র মেয়েকে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো। কিন্তু তা আর হলো না। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই তিনি মারা গেলেন।
যে বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেই পাবনা শহরের জেলাপাড়া মহল্লার রাবেয়া ভিলায় এখন শোকের মাতম চলছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির একমাত্র সন্তান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া মৌমিতা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন।
২০০৯ সালে তিনি পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।
২০১১ সালে পাবনা মহিলা কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে পাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
পরে সেখানেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ২০২১ সালে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
বাবা রুমি খন্দকার বলেন, “জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে রাত ১২টার দিকে ও শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসায় ফিরেছিল। সকালবেলা যখন তাকে ভোট গণনার কক্ষে ডাকা হয়, সে যায়। সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে ওর শেষ মেসেজ পাই—‘বাবা আমি ভোট গণনা করতে যাচ্ছি’। কিন্তু কক্ষে প্রবেশের আগেই দরজার সামনেই পড়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।
ভোট গ্রহণের পর আমার সঙ্গে ওর কথা হয়েছিল। তখন নির্বাচন নিয়ে ও বেশ খুশি ছিল।”
জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার মরদেহ এখন পাবনায়।
পাবনার আরিফপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।