ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

    শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে আইনি ব্যবস্থা, সরকারের সতর্কবার্তা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৫১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

    অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এখন থেকে কেউ তার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর গুরুতর লঙ্ঘন।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত বছর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা গেছে যে, কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি মিথ্যা ও উস্কানিমূলক ভাষণ প্রচার করেছে। এই ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে সরকার দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে, ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর ওপর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন।

    এছাড়াও, বাংলাদেশের আইন অনুসারে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ওপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ প্রথমবারের মতো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমগুলোকে শেখ হাসিনার অডিও এবং তার বক্তব্য, যা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি, প্রচার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    তার মন্তব্য, বক্তৃতা এবং যেকোনো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহিতার আওতায় পড়বে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে আইনি ব্যবস্থা, সরকারের সতর্কবার্তা

    আপডেট সময় ১২:৫১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

    অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এখন থেকে কেউ তার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর গুরুতর লঙ্ঘন।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত বছর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা গেছে যে, কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি মিথ্যা ও উস্কানিমূলক ভাষণ প্রচার করেছে। এই ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে সরকার দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে, ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর ওপর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন।

    এছাড়াও, বাংলাদেশের আইন অনুসারে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ওপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ প্রথমবারের মতো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমগুলোকে শেখ হাসিনার অডিও এবং তার বক্তব্য, যা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি, প্রচার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    তার মন্তব্য, বক্তৃতা এবং যেকোনো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী যেকোনো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহিতার আওতায় পড়বে।