সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ এক বছরে ৩৩ গুণ বেড়েছে

- আপডেট সময় ০১:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
- / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থ এক বছরে ৩৩ গুণ বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে যেখানে জমা ছিল মাত্র ১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালের শেষে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ কোটি ফ্রাঁ। টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৮,৭৮৪ কোটি টাকা।
এই তথ্য উঠে এসেছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে। ২০২১ সালের পর এবারই বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ অর্থ জমা হয়েছে দেশটির ব্যাংকগুলোতে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হঠাৎ এত অর্থ বৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে শুধু ব্যক্তি নয়, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও অর্থ জমা রাখেন। সেইসঙ্গে, বিভিন্ন দেশে থাকা সুইস ব্যাংকের শাখায় রাখা অর্থও এতে যোগ হয়।
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যান। ধারণা করা হচ্ছে, অনেকে নিরাপদে অর্থ রাখার জন্য সুইস ব্যাংকে টাকা সরিয়েছেন। তবে অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম মনে করেন, সুইজারল্যান্ড এখন আগের মতো আর পাচারকারীদের কাছে আকর্ষণীয় নয়। তাঁর মতে, অন্যান্য দেশের তুলনায় এ জমার অঙ্ক তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
অন্যদিকে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ হতে পারে হিসাবের পদ্ধতিগত পরিবর্তন, অন্য দেশ থেকে অর্থ স্থানান্তর, বা সরকার পরিবর্তনের সময় অর্থ পাচারের নতুন চেষ্টা। তিনি মনে করেন, এত অর্থ জমা হওয়া মানেই যে পাচার থেমেছে—তা নয়।
শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় নাগরিকদের অর্থ জমাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০২৩ সালে যেখানে ছিল ১০৩ কোটি ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি ফ্রাঁ।
এসএনবির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ বছরে বাংলাদেশিদের সুইস ব্যাংকে সবচেয়ে কম জমা ছিল ২০২৩ সালে, আর সর্বোচ্চ ছিল ২০২১ সালে—৮৭ কোটি ফ্রাঁ।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ধরণের তথ্য গভীরভাবে বিশ্লেষণ না করে শুধু সংখ্যা দেখে অনুমান করা ঠিক নয়। বিস্তারিত যাচাই জরুরি।