ধানমণ্ডিতে ভয়ংকর প্রতারক শাহীন সোলায়মান মোল্লা গ্রেফতার

- আপডেট সময় ০২:৩১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল ধানমণ্ডি ৯ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর হাউজ, লিগ্যাসি বিল্ডিংয়ের এম-এফ ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এক ভয়ংকর প্রতারককে আটক করেছে।
অভিযুক্তের নাম শাহীন সোলায়মান মোল্লা — যিনি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের স্বপ্নকে হাতিয়ার বানিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক অমানবিক প্রতারণার সাম্রাজ্য! একই ফ্ল্যাট থেকে তানিয়া নামের এক নারীকেও পাওয়া যায়, যিনি নিজেকে শাহীনের স্ত্রী পরিচয় দিলেও, কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
প্রতারক শাহীনের নোংরা সাম্রাজ্য:
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, শাহীন সোলায়মান এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। পরে “এমসিপি” নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে প্রতারণার নতুন জাল বিস্তার করেন। তিনি মানুষের কাছে বিদেশে চাকরির প্রলোভন, সরকারি সংযোগ, এনজিওর চাকরির প্রতিশ্রুতি— এমন নানা লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
টাকা না দিলে, অনেক সময় ভুক্তভোগীদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন এই ঠান্ডা মাথার প্রতারক। ভুক্তভোগীদের অনেকে জানান — “শাহীন শুধু টাকা নয়, আমাদের স্বপ্ন, আত্মসম্মান আর শান্তিটুকুও কেড়ে নিয়েছে।”
পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, শাহীনের মা পেয়ারা বেগম, তথাকথিত স্ত্রী এবং সন্তানরাও এই প্রতারণা চক্রের অংশ। তারা বিদেশে চাকরির নামে চাঁদাবাজি, হুন্ডি ও অবৈধ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শাহীন কখনো নিজেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, কখনো আবার আন্তর্জাতিক এনজিওর কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে কোনো পরিচয়েরই সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার একটাই আসল পরিচয় — একজন ভয়ংকর ও নির্মম প্রতারক!
ভুক্তভোগীরা বলেন
“এই মানুষটা শুধু টাকার প্রতারক নয়, মানুষের জীবনের প্রতারক। আমরা চাই — ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যেন আর কেউ এভাবে মানুষ ঠকাতে না পারে।”
তারা সরকারের কাছে দ্রুত বিচার ও স্থায়ী প্রতারণা-প্রতিরোধ ব্যবস্থা দাবি করেছেন।
ঢাকা মহানগর ডিবি ইতিমধ্যে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানায় — শাহীনের সহযোগীদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা এটিকে শুধু একটি প্রতারণা মামলা হিসেবে নয়, সমাজের জন্য একটি হুমকি হিসেবে দেখছি। এই চক্রের মূলোৎপাটন করতেই আমাদের লক্ষ্য।”
পুলিশ জানিয়েছে, যে কেউ চাইলে সরাসরি যোগাযোগ করে ঘটনার বিস্তারিত জানাতে পারবেন। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আশা করছেন,
👉 দ্রুত তদন্ত শেষ হবে,
👉 শাহীন ও তার চক্রের সবাই আইনের আওতায় আসবে,
👉 ভবিষ্যতে এমন ভয়ংকর প্রতারণার পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না।
প্রতারক শাহীন সোলায়মান মোল্লা শুধু একজন ব্যক্তি নয়, সে এক ভয়াবহ শিক্ষা — “বিশ্বাসের মুখোশে লুকিয়ে থাকা এক নরপিশাচ।” চাকরির প্রলোভন, বিদেশের স্বপ্ন বা রাজনৈতিক সংযোগ — কিছুতেই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা ঠিক এমনই হয়—হাসিমুখে স্বপ্ন দেখায়, তারপর সর্বস্ব কেড়ে নেয়!
 
 






















