হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প–লি বৈঠক, কিমের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ

- আপডেট সময় ১১:৪৯:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৭০ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা আবারও জানান ট্রাম্প।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি বলেন, “আশা করি আপনি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি আনতে পারবেন, যা বিশ্বের একমাত্র বিভক্ত জাতি। আশা করি, কিম জং উনের সঙ্গে আপনার সাক্ষাৎ হবে।” রসিকতার ছলে তিনি আরও বলেন, “উত্তর কোরিয়ায় একটি ট্রাম্প টাওয়ার গড়ে তুলুন, যাতে আমি সেখানে গলফ খেলতে পারি।”
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আবারও তার (কিম জং উন) সঙ্গে দেখা করতে চাই। কোনো একদিন দেখা হবে। আমি তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেছিলাম।” আলোচনার সময় ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সামরিক ঘাঁটির জমির মালিকানা নিয়েও মন্তব্য করেন। বর্তমানে সেখানে প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “আমরা বিশাল অর্থ খরচ করে সেখানে দুর্গ তৈরি করেছি। দক্ষিণ কোরিয়া কিছুটা অবদান রাখলেও আমি চাই ওই ঘাঁটির জমি ভাড়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় আসুক।”
এটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর লি জে-মিয়ংয়ের প্রথম হোয়াইট হাউস সফর। গত জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল অভিশংসিত হওয়ার পর তিনি ক্ষমতায় আসেন। ইউন গত বছর সামরিক আইন জারি করেছিলেন, যা সংসদ দ্রুত বাতিল করে দেয়। পরে বিদ্রোহের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই লি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ২০১৮ সালে আন্তঃকোরীয় সম্মেলনে স্বাক্ষরিত ‘১৯ সেপ্টেম্বর সামরিক চুক্তি’ পুনরায় কার্যকর করতে চান। ওই চুক্তির অধীনে সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক কার্যক্রম স্থগিত করার কথা ছিল। তবে উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই এ উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়াই প্রমাণ করে যে ওয়াশিংটন “পুরো কোরীয় উপদ্বীপ দখল করতে চায়।” কেপিএ-র উপপ্রধান জেনারেল কিম ইয়ং বক সতর্ক করেছেন, “যদি সামরিক মহড়া অব্যাহত থাকে তবে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে এবং বড় মাশুল দিতে হবে।”
লি-র হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় “একটি শুদ্ধিকরণ” চলছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন, “দক্ষিণ কোরিয়ায় কী হচ্ছে? মনে হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান বা বিপ্লব চলছে। এভাবে সেখানে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।” পরে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে গির্জায় অভিযানের একটি গুজব আমি গোয়েন্দা সূত্র থেকে শুনেছি।”
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, গত মাসে বিশেষ তদন্তদল ইউনিফিকেশন চার্চের কার্যালয়ে অভিযান চালায় এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিয়ন হি-কে ঘিরে নানা অভিযোগে তদন্ত শুরু করে।