ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

    অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে ক্যাসিনো শামীম খালাস

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম, যিনি জি কে শামীম নামে পরিচিত, অর্থপাচারের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

    এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বেশি অর্থদণ্ড দেন। একই মামলায় তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড এবং একই পরিমাণ জরিমানা করা হয়। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, “অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় এবং জাতির শত্রু হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।”

    জেলা আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম, যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেন। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের আরেক মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।

    জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলাটি হয় ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডি আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় এবং সেই বছরের ১০ নভেম্বর মামলার বিচার শুরু হয়।

    ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করেছিল। এ ঘটনার পর থেকে তিনি দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে ক্যাসিনো শামীম খালাস

    আপডেট সময় ০২:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

    ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম, যিনি জি কে শামীম নামে পরিচিত, অর্থপাচারের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

    এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বেশি অর্থদণ্ড দেন। একই মামলায় তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড এবং একই পরিমাণ জরিমানা করা হয়। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, “অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় এবং জাতির শত্রু হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।”

    জেলা আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম, যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেন। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের আরেক মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।

    জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলাটি হয় ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডি আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় এবং সেই বছরের ১০ নভেম্বর মামলার বিচার শুরু হয়।

    ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করেছিল। এ ঘটনার পর থেকে তিনি দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন।