ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

    আন্দোলনে নামছে জামায়াত এনসিপিসহ আট রাজনৈতিক দল

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:৩১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ৩১০ বার পড়া হয়েছে

    বাংলাদেশে রাজনীতিতে নতুন মোড় এসেছে। জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচিতে নামতে যাচ্ছে আটটি রাজনৈতিক দল।

    তালিকায় রয়েছে জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস,

    নূরুল হকের গণ অধিকার পরিষদ, মজিবুর রহমান মঞ্জুরের আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি), এবং সরওয়ার কামাল আজিজীর বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

    এগুলোর মধ্যে জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন আগেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে পিআর ভিত্তিক নির্বাচনসহ বড় ধরনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল।

    এবার তারা একত্র হয়ে যুগপৎ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে, যা দেশের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

    ১. জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
    ২. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) প্রবর্তন।
    ৩. সব দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি।
    ৪. ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

    দলগুলো একাধিক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই যুগপৎ কর্মসূচি শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে,

    তারা রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি জানাবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সোমবার পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলন করবে।

    এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য জুলাই সনদের ভিত্তিতে গণপরিষদ নির্বাচন।

    যদিও আট দল সবই সরাসরি গণপরিষদ নির্বাচনের পক্ষে নয়, তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিয়ে একধরনের সহমত রয়েছে।

    পিআর পদ্ধতি বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে একমত হয়নি; কেউ সংসদের উভয় কক্ষে, কেউ শুধুমাত্র উচ্চকক্ষে পিআর চান। তবে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আট দলই একমত। তাদের যুক্তি,

    যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ফ্যাসিবাদী অভিযোগে নিষিদ্ধ করা যায়, তবে জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোকেও নিষিদ্ধ করা উচিত।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এই আট দলের অভিন্ন দাবি—নির্বাচন অবশ্যই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    আন্দোলনে নামছে জামায়াত এনসিপিসহ আট রাজনৈতিক দল

    আপডেট সময় ০৬:৩১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    বাংলাদেশে রাজনীতিতে নতুন মোড় এসেছে। জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচিতে নামতে যাচ্ছে আটটি রাজনৈতিক দল।

    তালিকায় রয়েছে জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস,

    নূরুল হকের গণ অধিকার পরিষদ, মজিবুর রহমান মঞ্জুরের আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি), এবং সরওয়ার কামাল আজিজীর বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

    এগুলোর মধ্যে জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন আগেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে পিআর ভিত্তিক নির্বাচনসহ বড় ধরনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল।

    এবার তারা একত্র হয়ে যুগপৎ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে, যা দেশের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

    ১. জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
    ২. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) প্রবর্তন।
    ৩. সব দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি।
    ৪. ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

    দলগুলো একাধিক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই যুগপৎ কর্মসূচি শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে,

    তারা রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি জানাবে।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সোমবার পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলন করবে।

    এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য জুলাই সনদের ভিত্তিতে গণপরিষদ নির্বাচন।

    যদিও আট দল সবই সরাসরি গণপরিষদ নির্বাচনের পক্ষে নয়, তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন নিয়ে একধরনের সহমত রয়েছে।

    পিআর পদ্ধতি বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে একমত হয়নি; কেউ সংসদের উভয় কক্ষে, কেউ শুধুমাত্র উচ্চকক্ষে পিআর চান। তবে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আট দলই একমত। তাদের যুক্তি,

    যদি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ফ্যাসিবাদী অভিযোগে নিষিদ্ধ করা যায়, তবে জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোকেও নিষিদ্ধ করা উচিত।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এই আট দলের অভিন্ন দাবি—নির্বাচন অবশ্যই জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে।