স্বস্তির বদলে দুর্ভোগ আর মৃত্যুর মিছিল!
ঈদযাত্রায় ৪১৫ দুর্ঘটনায় ৪২৭ জনের প্রাণহানি

- আপডেট সময় ০২:২৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
- / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
আনন্দের ঈদ শেষ হলেও এর রেশ রয়ে গেছে। কিন্তু এবারের ঈদযাত্রার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, যা আমাদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। প্রতি বছর ঈদ আসে আনন্দ নিয়ে, স্বজনদের কাছে ফেরার তাগিদ নিয়ে।
কিন্তু এই আনন্দের যাত্রায় অসংখ্য মানুষের জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। এবারের ঈদুল আজহার আগে ও পরে মাত্র ১৫ দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯০টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে! আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৮২ জন।
এক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে শুধু সড়ক দুর্ঘটনার চিত্রই নয়, তুলে ধরা হয়েছে রেলপথ ও নৌপথেও অসংখ্য দুর্ঘটনার চিত্র।
এই ১৫ দিনে রেলপথে ২৫টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। আর নৌপথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সব মিলিয়ে, সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ১৯৪ জন।
প্রতিবেদনে মহাসড়ক থেকে ছোট যানবাহন বন্ধ, পাশাপাশি, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করা, মানসম্মত সড়ক নিশ্চিত করা এবং আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছোট-বড় গর্তে বেপরোয়া যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। ঈদের পর বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানোর কারণে। এর ফলে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা খাদে পড়ে যাওয়া এবং দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লাগার ঘটনা।
আর এবারের ঈদেও ভোগান্তির আরেক নাম ছিল অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য এবং পথে পথে যাত্রী হয়রানি। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে নিরুপায় হয়ে দরিদ্র মানুষরা বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে এবং পণ্যবাহী পরিবহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করতে বাধ্য হয়েছেন।