একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান বাবরসহ সব আসামি খালাস

- আপডেট সময় ০২:১৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ন্যায়বিচার পেয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমান নির্দোষ। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত জিঘাংসা থেকে তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অন্যায়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমান নির্দোষ, এ কারণে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থে ২১ আগস্ট মামলার বিচার চায়নি। যদি প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাইতেন, তবে আইভি রহমান হত্যার বিচার করতেন এবং জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানকে অন্তর্ভুক্ত করতেন না।” তিনি আরও বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের খালাস রায় বহাল রাখে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগ এই রায় প্রদান করে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিদের মধ্যে ছিলেন মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক ও ফারাহ মাহবুব।
রায়ের পর বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ন্যায়বিচার পেয়েছেন।” তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত জিঘাংসা থেকে তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমান নির্দোষ।”
কায়সার কামাল আরও বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে এটিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে শেখ হাসিনা প্রকৃতপক্ষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার চাননি। যদি তিনি প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাইতেন, তাহলে জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানকে অন্তর্ভুক্ত করতেন না।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট বেঞ্চ তখন বলেছিলেন, “যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন, তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।” হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ১ জুন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হন।